পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার জন্য মুসলিম অভিবাসনকেই দায়ী করে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং। এবার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভৎর্সনা করল অস্ট্রেলিয়ার সিনেট। গত মাসে দু’টি মসজিদে গুলিবর্ষণ করে অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন টারান্ট ৫০ জনকে হত্যার দিনই চরম ডানপন্থী অ্যানিং ওই মন্তব্য করেন। খবর বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার অস্ট্রেলিয়ার সব দলের জনপ্রতিনিধিরা অ্যানিংয়ের ‘উত্তেজক ও বিভেদ সৃষ্টিকারী’ মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। অ্যানিং এই তিরস্কারকে ‘বাক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আনুষ্ঠানিক এই ভৎর্সনায় বলা হয়, অ্যানিংয়ের বক্তব্যে পার্লামেন্ট বা অস্ট্রেলিয়ার মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি।
অ্যানিং বলেছিলেন, ‘আজকে নিউজিল্যান্ডের রাস্তায় রক্তপাতের আসল কারণ হচ্ছে দেশটির ইমিগ্রেশন প্রোগ্রাম, যেটা গোঁড়া মুসলমানদের নিউজিল্যান্ডে অভিবাসন করতে দিয়েছে।’ সিনেটে অন্য জনপ্রতিনিধিরা বলেন, অ্যানিংয়ের মন্তব্য ‘লজ্জাকর’ ও ‘আতঙ্কজনক’। তিরস্কারে বলা হয়, অ্যানিং ভয়াবহ অপরাধের শিকার মানুষদের ওপরই ওই অপকর্মের দায় চাপাতে চেয়েছেন এবং ধর্মের ভিত্তিতে তাদের দুর্নাম রটানোর চেষ্টা করেছেন।
কোনও শাস্তির ব্যবস্থা না থাকলেও এই তিরস্কারকে আনুষ্ঠানিক নিন্দা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গত এক এক দশকে পাঁচ বার এরকম নিন্দা জ্ঞাপনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে। বুধবার কেবল একজন সিনেটর, করি বার্নার্ড এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন, ভোট দানে বিরত থাকেন অ্যানিংসহ তিন জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।