নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের দু’আসরে হার দিয়ে শুরু করলেও এবার জয়েই এএফসি কাপ মিশন শুরু করলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। যদিও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নূন্যতম গোলের জয় পেয়েছে। তবে তারা খেলেছে দারুণ। বুধবার কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে আবাহনী ১-০ গোলে হারায় নেপালের চ্যাম্পিয়ন মানাং মার্সিয়াংদিকে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন আফগানিস্তানের ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি।
এর আগে এএফসি কাপে দু’বার এবং এএফসি প্রেসিডেন্ট কাপের পাঁচটি আসরে খেলার রেকর্ড রয়েছে ঢাকা আবাহনীর। কিন্তু দুই টুর্নামেন্টের একটিরও গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারেনি তারা। ২০১৭ ও ’১৮ সালে এএফসি কাপের সর্বশেষ দু’আসরে ১২ ম্যাচ খেলে দু’টি করে জয় ও ড্র পেলেও এবার ব্যর্থতা কাটিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পর্বে খেলার লক্ষ্য আবাহনীর। নেপাল যাওয়ার আগে মিডিয়াকে এমন কথাই বলেছিলেন দলটির পর্তুগিজ কোচ মারিও ল্যামোস। তার কথা ছিল,‘টুর্নামেন্টে আমরা ভালো শুরু করতে চাই।’ কোচের চাওয়া পূরণ করেছেন তার শিষ্যরা। ভালো শুরুই করলো আবাহনী।
মানাং মার্সিয়াংদির বিপক্ষে বুধবার ম্যাচের শুরু থেকে কিছুটা কোনঠাসা ছিল আবাহনী। এসময় স্বাগতিক দল আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়ে আবাহনীর রক্ষণদূর্গে ফাটল ধরাতে চেষ্টা করে। কিন্তু বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের সতর্কতায় মানাং মার্সিয়াংদির ফরোয়ার্ডরা সুবিধা করতে পারেননি। ম্যাচের ৫ মিনিটে মানাং মার্সিয়াংদির বিশাল রায়ের শট ফিরিয়ে আবাহনী শিবিরকে স্বস্তি দেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয় আবাহনী। তারা পাল্টা আক্রমণে গিয়ে মার্সিয়াংদির রক্ষণদূর্গে চাপ দেয়। সাফল্যও পায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ২৭ মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় আবাহনী। এসময় কর্ণার শট থেকে পাওয়া বল হেডে মানাং মার্সিয়াংদির জালে জড়িয়ে দেন আবাহনীর আফগান ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি (১-০)। এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে লড়লেও শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল পায়নি আবাহনী। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবাহনীর রুবেল মিয়ার ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে মার্সিয়াংদির এক ডিফেন্ডার বল প্রায় নিজেদের জালেই জড়িয়ে দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল বলে মার্সিয়াংদিকে দ্বিতীয় গোল হজম করতে হয়নি। বল বাইরে চলে যায়। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোছালো ফুটবল খেলে আবাহনী। এতে চাপে থাকে নেপালের চ্যাম্পিয়ন দলটি। আবাহনীর রক্ষণে বাদশা-রায়হান ছিলেন দুর্ভেদ্য দেয়াল হয়ে। ফলে মাঝে মাঝে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ব্যর্থ হন মার্সিয়াংদির ফরোয়ার্ডরা। তবে ৭৮ মিনিটে সেরা সুযোগটি আসে স্বাগতিক দলের সামনে। কিন্তু এতে ব্যর্থ দলটি। এসময় আফেজ ওলাওলের শট ফিরিয়ে ঢাকা আবাহনীকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক সোহেল। শেষ পর্যন্ত আরো কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা।
আগামী ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মিনেরভা পাঞ্জাবের মুখোমুখি হবে আবাহনী। মার্সিয়াংদির বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচটি হবে আগামী ১৯ জুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।