মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। বাংলা থেকে যত বেশি সম্ভব আসন নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। তাই নরেন্দ্র মোদির সভা ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। বুধবার দু’টি সভা করেছে তারা। একটি শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে। অন্যটি ব্রিগেডে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করবে মোদির এই প্রাক-নির্বাচনী সভা।
বুধবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন মোদি। সেখান থেকে কাওয়াখালিতে নির্বাচনী সভায় রওনা দেন। এই সভামঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মোদি। সেখান থেকে মোদি বললেন, ভারতীয় সেনাকে পুরো ছাড় দেওয়া হয়েছে। আপনারা খুশি তো? বালাকোটে ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের মারা হয়েছে। আপনারা খুশি হয়েছেন তো? বুকের ছাতি চওড়া হয়েছে তো? মাথা উঁচু হয়েছে তো? কাঁদার কথা কাদের আর কারা কাঁদছেন! চোট ওখানে লেগেছে, তোমাদের ব্যথা হচ্ছে কেন? কলকাতায় বসে দিদির যতটা ব্যথা হয়েছে, এতটা ইসলামাবাদ বা লাহোরে হয়নি। আগে বামেরা করত, এখন দিদি সেই অস্ত্র নিয়ে নিয়েছে। আরও ধার দিয়েছেন। বাম, কংগ্রেস, মমতা দিদি সবাই একই মুদ্রার বিভিন্ন দিক। তিনি বলেন, চৌকিদার পশ্চিমবঙ্গে কাজ করতে চায়। গ্রামে গ্রামে গ্যাস দেওয়ার কাজ আমরা দ্রুত করছি। বিদ্যুত্ পৌঁছে যাবে। সকলের জন্য বাড়ি, শৌচাগার হবে। আপনাদের চাওয়ালা উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।
এসময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকে যায়। কিন্তু দিদি স্পিড ব্রেকার। তিনি উন্নয়নে ব্রেক লাগিয়ে দিয়েছেন। দিদি ৭০ লাখের বেশি কৃষক পরিবারের উন্নয়নে ব্রেক লাগিয়ে দিয়েছেন। স্পিডব্রেকার সরার অপেক্ষায় আছি। দিদির সরকার গবিরদের লুঠ করেছে। তিনি বলেন, যে গতিতে দেশের অন্য রাজ্যে কাজ করেছি, এ রাজ্যে সেই গতিতে কাজ হয়নি। এর কারণ কেন জানেন? আপনারা ঠিকই বুঝেছেন। পশ্চিমবঙ্গে এক স্পিডব্রেকার আছে। এখানকার লোক তাকে দিদি বলে জানেন। আপনাদের উন্নয়নের স্পিডব্রেকার হচ্ছেন দিদি। তিনি আরো বলেন, আপনাদের শুভেচ্ছাতেই এই চৌকিদার বড় বড়দের সঙ্গে টক্কর নিচ্ছে। এই জনসভার বিপুল ভিড় দেখে বুঝতে পারছি মমতার নৌকা ডুবতে চলেছে। ছোটবেলা থেকেই শুনছি যা বাংলা বলে তাকে গোটা দেশ অনুসরণ করে। আজও বাংলা যা করছে পুরো দেশ সে ভাবেই চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।