নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যে পিচে রীতিমত তান্ডব চালিয়ে রেকর্ড জুুটি গড়ে জোড়া শতক তুলে নিলেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নার, সেই পিচেই লাইন খুঁজে পেলেন না বিরাট কোহলি-এবি ডি ভিলিয়ার্সরা। চলমান আইপিএল আসরে নিজেদের টানা তৃতীয় ম্যাচেও তাই জয়ের দেখা পেল না রয়্যাল চলেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে এবার মাত্র ১১৩ রানে গুটিয়ে ১১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারল কোহলির দল।
২৩২ রানের বিশাল লক্ষ্যে শুরুতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে বেঙ্গালুরু। ৩৫ রানেই তারা হারায় শীর্ষ ৬ উইকেট, যার চারটিই স্পিনার মোহাম্মদ নবির। সপ্তম উইকেটে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫১ রানের জুটি গড়েন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও প্রায়াস রায় বর্মণ। এক বল বাকি থাকতে সব শেষ। নতুন বলে ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চমক দেখান নবি। মিডিয়াম পেসে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন সন্দিপ শর্মা। তিনজন হয়েছেন রান আউট।
রোববার টস হেরে ব্যাটে নেমে ১৬.২ ওভারে ১৮৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন হায়দরাবাদের ওপেনার বেয়ারস্টো ও ওয়ার্নার, আইপিএল ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি জুটি গড়লেন তারা। বেয়ারস্টো ৫৬ বলে খেলেন ১১৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। ইনিংসটি সাজাতে ইংলিশ ওপেনার চার মেরেছেন ১২টি ও ছক্কা ৭টি। ওয়ার্নার আর আউটই হননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে অজি ওপেনার ৫৫ বলে ৫টি করে ছক্কা-চারে সংগ্রহ করেন ঠিক ১০০ রান।
তবে দুজনের এমন খুনে ব্যাটিংয়েও আহামরি সংগ্রহ পায়নি হায়দ্রাবাদ। ২ উইকেটের বিনিময়ে এসেছে ২৩১ রান। আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ২৬৩। ২০০৩ সালে ক্রিস গেইলের সেই রেকর্ডময় ম্যাচে পুনে ওয়ারিয়ার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে এই সংগ্রহ গড়েছিল বেঙ্গালুরু।
বিপিএলের ম্যাচেও দেখা গিয়েছিল এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরি। করেছিলেন রংপুর রাইডার্সের দুই ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস এবং রাইলি রুশো। ক্রিকেট ইতিহাসে এই নিয়ে চতুর্থবার এক ইনিংসে দেখা গেল জোড়া সেঞ্চুরি। প্রথমবার জোড়া শতক দেখা গিয়েছিল ২০১১ সালে। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০১১ সালে মিডলসেক্সের হয়ে এক ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন কেভিন ও’ব্রায়েন ও হামিশ মার্শাল। ঐ ম্যাচে কেভিন ১১৯ ও হামিশ ১০২ রানের ঝকঝকে দুটি ইনিংস খেলেন।
এরপর জোড়া শতক দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ঐ ম্যাচে জোড়া শতক হাঁকিয়েছিলেন ভারত জাতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও ক্রিকেট বিশ্বের আরেক মারকুটে ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ঐ ম্যাচে কোহলির ব্যাট থেকে আসে ১০৯ রান, আর ডি ভিলিয়ার্স খেলেছিলেন ১২৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
এরপর তৃতীয়বারের মত টি-২০ ম্যাচের কোনো এক ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরির দেখা মিলে বিপিএলে। গত ২৫ জানুয়ারি বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের ৩০তম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের হয়ে অ্যালেক্স হেলস করেন ১০০ রান। ঠিক ১০০ রান আসে রাইলি রুশোর ব্যাট থেকে। হেলস শতক হাঁকানোর পরপরই সাজঘরে বিদায় নিলেও রুশো শতক হাঁকিয়ে অপরাজিতই ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।