Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার আম্পায়ারের ‘অমার্জনীয়’ ভুল!

বিতর্কের আবর্তে ঘুরছে আইপিএল

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আইপিএলে এখন পর্যন্ত মাত্র আট ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধে উঠেছে বেশ ভালোভাবেই। নিন্মমানের পিচ আর ¯েøজিংয়ে শুরুতেই কুপোকাত মাল্টি মিলিয়ন ডলারের এ টুর্নামেন্ট। এর আগে রাজস্থান-পাঞ্জাব ম্যাচে জস বাটলারকে ‘মানকাড’ আউট করে চরম সমালোচিত হন রবিচন্দ্র অশ্বিন। আর গত পরশু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক ভুলই করলেন আম্পায়ার।

শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ৭ রান। স্ট্রাইকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অলরাউন্ডার শিবাম দুবে। বল হাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। শেষ বলটা তিনি ‘ব্লকহোল’ লেংথে করলেও তাঁর পা দাগের ওপাশে চলে গিয়েছিল। যা আম্পায়ার সুন্দরম রবির চোখ এড়িয়ে যায়। কিন্তু চিন্মাস্বামী স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে ‘রিপ্লে’তে ভুলটা ধরা পড়ে। তা দেখে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি রাগে ফুঁসলেন কিছুক্ষণ। ডেলিভারিটি ‘নো বল’ হলে ফ্রি-হিট মিলত। তখন কে জানে, ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত!

হারের পর কোহলি তাই রাগ দমিয়ে রাখতে পারেননি, ‘আমরা ক্লাব ক্রিকেট নয়, আইপিএল খেলছি। আম্পায়ারদের চোখ খোলা রাখা উচিত। ওটা ইঞ্চিখানেক ব্যবধানে নো বল ছিল। তখন খেলাটা পুরো অন্যরকম হতে পারত (অতিরিক্ত আরেকটি ডেলিভারি হলে)।’ শুধু বেঙ্গালুরু অধিনায়ক নন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মাও সমালোচনা করেছেন দুর্বল আম্পায়ারিংয়ের, ‘ক্রিকেটের জন্য এমন ভুল মোটেও ভালো নয়। ওই ওভারের আগের ওভারে বুমরার একটি ডেলিভারি ওয়াইড ছিল না (যেটি ওয়াইড দেওয়া হয়েছে)। এসব বিষয় ম্যাচের গতি পাল্টে দেয়। কী ঘটছে সেটি তাঁদের (আম্পায়ার) দেখতে হবে।’

মুম্বাইয়ের ১৮৭ রান তাড়া করতে নেমে বেঙ্গালুরু শেষ পর্যন্ত ৬ রানে হেরেছে। ম্যাচটা জমজমাট হলেও শেষ বলে আম্পায়ারের এই ভুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারেরা এ নিয়ে ঝড় তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেরকারের টুইট, ‘উঁচু মাপের ক্রিকেট দেখলাম আজ (পরশু) রাতে। যুবি, হার্দিক, উমেশ, চাহাল, এবি, বিরাটরা খেলাকে অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সবকিছু ভেঙে পড়ল শেষ বলটা নো না হওয়ার জন্য। ক্ষমার অযোগ্য ভুল।’

দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ও চেন্নাই সুপার কিংস ব্যাটসম্যান ফাফ ডু প্লেসির টুইট, ‘ক্রিকেটে প্রযুক্তি আরও বেশি ব্যবহার করা উচিত। সব সংস্করণেই প্রচুর নো বল চোখ এড়িয়ে যায় এবং শুধু আউটের সময় তা দেখা হয়। তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারকে বলবে নো বল হয়েছে, এমন হওয়া উচিত।’ ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন টুইট করেন, ‘প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় এমন নো বল কখনোই হওয়া উচিত নয়।’ টুইট করেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনও, ‘প্রযুক্তির এই যুগে এমন ম্যাচে নো বল কোনোভাবেই চোখ এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।’ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান ডিন জোন্স সমালোচনা করেছেন আম্পায়ারদের। তাঁর টুইট, ‘ইদানীং প্রচুর নো বল আম্পায়ারদের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। নো বল ধরতে মাঠে আরেকজন আম্পায়ার রাখার সময় এসেছে।’ ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফ রসিকতা করতে ছাড়েননি। তিনি টুইট করেন, ‘শেষ বলে শিবাম দুবে আউট হলেই ভালো হতো। নো বল হয়েছে কি না, আম্পায়ারদের তা দেখার এটাই একমাত্র পথ।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইপিএল

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ