নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আপৎকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্বে আসা কোচ ওলে গানার সুলশারকে তিন বছরের জন্য স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তায় মৌসুমের মাঝপথে হোসে মরিনহোর চেয়ারে বসেন ৪৬ বছর বয়সী নরওয়ের এই অধিবাসী। এর আগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলোয়াড় হিসেবে ১১ মৌসুম কাটানো সাবেক এই স্ট্রাইকার ১৯৯৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রেড ডেভিলদের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন।
দলের পূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় সুলশার বলেন, ‘এটা সেই চাকরি যার জন্য আমি সবসময় স্বপ্ন দেখে এসেছি। লম্বা সময়ের জন্য দলের দায়িত্ব পেয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত।’ তিনি যোগ করেন, ‘যেদিন প্রথম এখানে আসি, সেদিন থেকেই বিশেষ এই ক্লাবটাকে আমার নিজের বাড়ি মনে হয়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড় এবং পরবর্তীতে কোচ হতে পারা বিশেষ সম্মানের ব্যাপার।’ ‘গত কয়েক মাস এখানে আমার দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
সুলশার যখন দলের দায়িত্বে আসেন তখন প্রিমিয়ার লিগে তাদের অবস্থান ছিল ছয় নম্বরে। চার নম্বরে থাকা দলের চেয়ে ছিলেন ১১ পয়েন্ট পিছনে। শীর্ষে থাকা দলের সঙ্গে ব্যবধান ছিল ১৯ পয়েন্টের। সুলশারের অধীনে ১৩ ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরেছে ইউনাইটেড। সেই ম্যাচে ম্যান ইউকে হারিয়ে শীর্ষ চারে উঠে আসে আর্সেনাল। গানারদের সঙ্গে এখন ইউনাইটেডের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র ২। প্রথম ইউনাইটেড কোচ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে টানা ছয় ম্যাচে জয় পান সুলশার। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়াটা খুব সম্ভব সুলশারের দলের জন্য।
এদিকে চলতি আসরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারের পরও পিএসজির বিপক্ষে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ম্যান ইউ। সব মিলে ১৯ ম্যাচে সুলশারের জয় ১৪টি, ২টি ড্র ও ৩টিতে হার।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পর চতুর্থ কোচ হিসেবে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পেলেন সুলশার। তার আগে তিনজন স্থায়ীভাবে নিয়োগ পেয়ে কেউই চুক্তির মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ছয় বছরের চুক্তিতে আসা স্কটিশ কোচ ডেভিড ময়েস প্রথম মৌসুমেই বরখাস্ত হন। এরপর তিন বছর মেয়াদে দলের দায়ীত্বে এসে দুই বছরের মাথায় চাকরি হারান সাবেক নেদারল্যান্ডস ও বার্সেলোনা কোচ লুইস ফন গাল। এরপর আসেন হোসে মরিনহো। পর্তুগিজ কোচকেও বিদায় নিতে হয় ব্যর্থতার বোঝা মাথায় নিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।