বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের ওসমানীনগরে কটাই মিয়া (৪০) নামের এক লম্পট কর্তৃক ৬ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দয়ামীর ইউপির খাগদিওর (খাইসার কান্দি) গ্রামে। ধর্ষণের অভিযোগ এনে ধর্ষক কটাই মিয়াকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওসমানীনগর থানায় একটি (মামলা নং-১৬) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ নির্যাতিতা ঐ শিশুটিকে উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার(ওসিসি) প্রেরণ করে। গত ২৩ মার্চ লম্পট কটাই মিয়া কর্তৃক গরীব ও অসহায় পরিবারের ৬ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষিত হলেও ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য কতিপয় কিছু প্রভাবশালীরা শিশুর পরিবারটি যাতে আইনের আশ্রয় না নিতে পারে সে জন্য কালক্ষেপন করে অপরাধীকে বাঁচানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ঘটার ৪দিন পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা জানতে পারলে নির্যাতিতা শিশুটির মাকে আইনের আশ্রয় নিতে পুলিশের খবর দিলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং অপরাধির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে পুলিশ।
পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ নির্যাতিতা শিশু সহ তার আরো ২ ভাই বোনকে বাড়িতে রেখে তাদের মা একই গ্রামের পাশের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে যান। সকাল ৯টার দিকে নির্যাতিতিা শিশুটি বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হলে খাগদিওর(খাইসার কান্দি) গ্রামে পাশর্^বর্তী বাড়ির মৃত মুক্তছির আলীর ৪ বিয়ে করা লম্পট কটাই মিয়া (৪০) শিশুটিকে বিস্কুট খাওয়ানের লোভ দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে লম্পট কটাই মিয়া শিশুকে তার বসত ঘরের দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে প্রানে হত্যার হুমকি প্রদান করে নির্যাতিতা শিশুকে ভয় দেখায়। ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে নির্যাতিতার মা জানতে পেরে ধর্ষিত শিশুকে জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি ঘটনার বিষয়টি তার মাকে জানায়।
নির্যাতিতা শিশুটির মা জানান, আমি অত্যন্ত গরীব ও অসহায় ৬টি সন্তান রেখে আমার স্বামী মারা গেছেন। অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে মানুষের ঘরে জিয়ের কাজ করে সন্তানদের মুখে একটু খাবার তুলে দেবার চেষ্টা করি। ঘটনার দিনও প্রতি দিনের ন্যায় নির্যাতিতা সন্তান সহ তিন সন্তানকে বাড়িতে রেখে আমাদের গ্রামের জাহেদ খানের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে যাই। বাড়ি থাকা আমার অন্য ২টি শিশু দুপুরে ঘটনার বিষয়টি খবর দেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, দোষী লম্পট কটার মিয়াকে গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই গৌতম সরকার বলেন, মামলার পর থেকে শিশু ধর্ষণকারী কটাই পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার আমরা প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আশা করি সে যেকোনো সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়বে।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন শিশু ধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।