মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী পদে টিকিটই পেলেন না বিজেপি-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুরলীমনোহর জোশী। লালকৃষ্ণ আদভানির পর তিনি হলেন দ্বিতীয় নেতা যাকে ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের সুযোগই দিল না বিজেপি। তবে তিনি আদভানির মতো নিরব না থেকে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের কানপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জোশী। মঙ্গলবার কানপুরের ভোটারদের উদ্দেশে একটি বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ‘কানপুরের প্রিয় ভোটাররা, বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলাল আমাকে বলেছেন, আমি যেন কানপুর বা অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করি।’
জোশী ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, লোকসভা ভোটের ময়দান থেকে যে ভাবে তাকে সরিয়ে দেওয়া হল, তাতে তিনি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ নন, দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলালকে জোশীর কাছে এই বার্তা দিয়ে পাঠানো হয় যে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কথা নিজেই ঘোষণা করুন জোশী। কিন্তু তা করতে অস্বীকার করেন তিনি। এর আগে একই ভাবে আদভানির কাছে এ রকম বার্তা নিয়ে গিয়েছিলেন রামলাল। আদভানির মতোই এ নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ জোশী। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, অন্তত পক্ষে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ নিজে এসে তাকে এই বার্তা দিতে পারতেন।
প্রার্থী পদে উপেক্ষা করা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশে ভোটের প্রচারের কাজেও বিবেচনা করা হয়নি জোশীকে। গত লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রটি নরেন্দ্র মোদীর জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন জোশী। তিনি নিজে দাঁড়িয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের কানপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। সেখান থেকেও অবশ্য ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন জোশী। তবে এ বার আদভানির মতোই মোদী-শাহ জুটির উপেক্ষার শিকার জোশী। ৭৫ বছরের বেশি বয়সী কোনও নেতাকে এ বারের ভোটে প্রার্থী করা হবে না বলে স্থির করেছেন মোদী-শাহ জুটি। সেই মতো রামলালকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, কলরাজ মিশ্র, শান্তা কুমার, কারিয়া মুণ্ডা, ভুবন চন্দ্র খাণ্ডুরির মতো প্রবীণ নেতাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তারা নিজেরাই ভোটে না লড়ার কথা ঘোষণা করুন। ওই প্রস্তাব মেনে কলরাজ মিশ্র, শান্তা কুমারের মতো নেতারা ঘোষণা করেন যে তারা ভোটে লড়বেন না। কিন্তু আদভানি তা করেননি। একই পথে গেলেন জোশীও। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।