পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের যে চেতনা, যে আদর্শকে সামনে নিয়ে এই দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, সেই চেতনা ও আদর্শকে আজকে ভূলুন্ঠিত করা হয়েছে। আজকে এই ভূখন্ডের মানুষের স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং মুক্তির স্বাধীনতা সবকিছুই পুরোপুরি ধবংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল (রোববার) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করেছিলো আওয়ামী লীগ। ৪৮ বছর পরে ঠিক একইভাবে তারা আজকে নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ছদ্মবেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। আজকে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে বিপন্ন হয়েছে, সত্যিকার সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে, গণতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে।
সরকার উন্নয়নের কথা বললেও ভেতরে ফাঁকা মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই উন্নয়ন শুধু কথায় উন্নয়ন, দুর্নীতির উন্নয়ন। এই উন্নয়নে কিছু সংখ্যক মানুষ ধনী থেকে ধনীতে পরিণত হচ্ছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন ধনীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেজন্য এই সরকারকে সরানো ছাড়া জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, যিনি সারা জীবন গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এতো ত্যাগ কোনো নেতা এদেশে কেউ করেনি। এই নেতা এখন পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে। প্রতিদিন তার শরীর খারাপ হচ্ছে। কী দুর্ভাগ্য ও ভয়ংকর যে, এই ভয়াবহ সরকার তার চিকিৎসা পর্যন্ত করছে না। আজকে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, যে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবো। তাকে মুক্ত করলেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমান দিয়েছেন এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমার কাছে ৩৬টা বইয়ের রেফারেন্স আছে। তিনি বলেন, বলা হয় ৭ মার্চ নাকী স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছে। তাহলে আমাদের প্রশ্ন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হলো কেনো? ১৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ সাহেব ডিকলারেশন অব ইন্ডিপেডেন্স অব দি পিপলস রিপাবলিক এন্ড গর্ভামেন্ট ঘোষণা করেছেন আ¤্কাননে। তিনি তার ঘোষণায় বলেছেন, যে ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে রেকগনাইজ করলেন। ৭ মার্চ যদি স্বাধীনতা ঘোষণা হয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের নেতারাই তো ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, এখন পর্যন্ত এটা প্রতিষ্ঠিত। তাহলে
এই স্বাধীনতা কে ঘোষণা করেছেন?
প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এজেএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুস সালাম, অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, আহসানুল্লাহ হাসান, সাদেক আহমেদ খান, শফিউল বারী বাবু, আনোয়ার হোসেইন, মামুন হাসান, হেলেন জেরিন খান, এজমল হোসেন পাইলট বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।