মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতায় তৃণমূলের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাহুল। লোকসভা ভোটের মুখে কলকাতায় এসে সেই রাহুলই এবার এক বন্ধনীতে ফেলে তীব্র আক্রমণ করলেন মোদী ও মমতাকে। কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই ‘লম্বা-চওড়া ভাষণ’ দেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ হয় না।
শনিবার এক সমাবেশে রাহুল কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতে না পারার জন্য মোদির সঙ্গে এক সুরেই মমতাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। কৃষক, শ্রমিক বা যুবকদের জন্য মমতার সরকার কী করেছে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে রাজনৈতিক সুরে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘বাংলার মানুষ আগে বামফ্রন্টের সঙ্গে লড়েছেন। এখন একই অত্যাচার তৃণমূল করছে। তা হলে আর পরিবর্তন কী হল?কংগ্রেস সরকারে এলে তবেই মানুষের জন্য শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।’
বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যের বাতাবরণ গড়ে তোলার জন্য কিছু দিন আগে পর্যন্তও সর্বাত্মক চেষ্টা জারি ছিল। এখন রাজ্যে রাজ্যে আসন ভাগাভাগির ধাক্কায় সেই চেষ্টা থিতিয়ে গেলেও নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য দরজা খুলে রেখেছে সবাই। এমতাবস্থায় কংগ্রেস সভাপতিকে বিশেষ পাল্টা আক্রমণে যেতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব।
দলের নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, ‘বাংলায় কংগ্রেসের কোনও সংগঠন নেই। রাহুলের সফরের কোনও গুরুত্বও নেই।’ তবে উত্তর মালদহে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়া মৌসম নূরের বক্তব্য, ‘রাহুল ভোটের সময়ে এসে নানা কথা বলেন। দিদি সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকেন, মানুষও তাই দিদির পাশে আছেন। মালদহে ২০১৭ সালের বন্যার সময়ে রাহুলজি’কে অনুরোধ করেও এখানে আনতে পারিনি। দিদি কিন্তু কাজ করেছিলেন।’
রাহুলকে পাল্টা আক্রমণে যেতে চায়নি সিপিএমও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কৌশলী মন্তব্য, ‘বিজেপি ও তৃণমূল যে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে, এটা সকলেই বুঝতে পারছেন। এই জন্যই রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপি-বিরোধী ভোট একত্র করতে আমরা এগিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্যের কংগ্রেস সে ভাবে সাড়া দেয়নি!’
রাজনৈতিক শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, মালদহে এ দিন রাহুলের বক্তৃতা যত না ভোটারদের উদ্দেশে, তার চেয়ে অনেক বেশি করে কংগ্রেস কর্মীদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে। তারা এ-ও বলছেন, রাজ্যে বিজেপির ভোটবাক্সে পাল্লা যাতে ভারী না হয়ে যায়, তা-ও নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
চাঁচলের কলমবাগান মাঠে রাহুল এ দিন প্রশ্ন তোলেন, ‘এখানে এক জন তরুণও কি আছেন, যিনি মমতার জন্য চাকরি পেয়েছেন? এক জন কৃষকও আছেন, যার কৃষিঋণ মকুব হয়েছে?’ কংগ্রেস সমর্থক জনতার ‘না’ শুনে রাহুল বলেন, ‘মানুষ কিছু পাচ্ছেন না আর মুখ্যমন্ত্রীর লম্বাচওড়া ভাষণ চলছে! ও’দিকে মোদি যেখানে যাচ্ছেন, মিথ্যা বলে আসছেন!’ সূত্র : আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।