নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মিয়ানমারের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্ব থেকে নেপালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ। এই সময়ের মধ্যে ২০দিনে দু’টি টুর্নামেন্টে ছয়টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের। সঙ্গে ভ্রমণ ও অনুশিলনের ধকল তো আছেই। স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত বাংলাদেশ দলের নারী ফুটবলাররা। তবে এ ক্লান্তি ঝেরে ফেলে তাদের প্রস্তুত হতে হবে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের জন্য। মেয়েদের নতুন এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের খেলা শুরু হবে আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ফাইনালের মধ্যদিয়ে ৩ মে শেষ হবে টুর্নামেন্ট।
নেপালের বিরাটনগরস্থ সাহিদ রঙ্গশালায় স্টেডিয়ামে গত বুধবার নারী সাফের সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে পরদিনই ঢাকায় ফিরে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দল। দেশে ফিরে কিন্তু ছুটি নেই মেয়েদের। কারণ বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের জন্য প্রস্তুতি পর্বে নামতে হবে। এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াতে এক মাস বাকি থাকলেও বাংলাদেশের মেয়েরা অনুশীলনে নামবে ২৯ মার্চ সকাল থেকে। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের অনুশীলন শুরু হওয়ার পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত লাল-সবুজের মেয়েরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনস্থ ক্যাম্পেই থাকবে। সাফ খেলতে নেপালে গিয়েছিল বাংলাদেশের ২১ ফুটবলার। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের জন্য সাফের দল থেকে বয়সের কারণে একমাত্র বাদ পড়বেন ফরোয়ার্ড সাবিনা খাতুন। বাকি ২০ জনই থাকবেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। এ হিসেবে বলা যায় বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় দলটিই খেলবে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে।
মেয়েদের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ বরাবরই ভালো। লাল-সবুজের নারী ফুটবলে অতীতের সব সাফল্য বয়সভিত্তিক দলকে ঘিরেই। তাই বঙ্গমাতা গোল্ডকাপেও বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ে আশাবাদী বাফুফে। দেশে ফেভারিট হিসেবেই খেলতে নামবে স্বাগতিক মেয়েরা। এ প্রসঙ্গে
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন,‘সিনিয়র খেলোয়াড় কম আছে বলে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে আমাদের জাতীয় দল তেমন ভালো করতে পারে না। কিন্তু আমাদের বয়সভিত্তিক দলে প্রচুর ফুটবলার রয়েছে। তারা ধারাবাহিক সাফল্যও পাচ্ছে। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলবো। ঘরের মাঠে খেলা এবং বঙ্গমাতার নামে টুর্নামেন্ট। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা ঢেলে দেব। মেয়েরা সিরিয়াস থাকবে মাঠে। আশাকরি সাপল্য ধরা দিবে।’
এই টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তান। এ দুটি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের ময়েরা কখনো খেলেনি। অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে এ দুই দেশের বিপক্ষে খেললেও এই লেভেলে তাদের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। অতীতে অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তানের বিপক্ষে সহজ জয়ের অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের।
২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে হারিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। বাংলাদেশ জিতেছিল ৬-০ গোলে। এরপর ২০১৬ সালে একই টুর্নামেন্টে তাদেরকে ৪-০ গোলে এবং ২০১৮ সালে ৭-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে কিরগিজস্তানের বিপক্ষেও ১০-০ গোলের বিশাল জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশের কিশোরীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।