প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী গেল নির্বাচনে সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তবে বাস্তবতা বলছে তিনি সংসদের চেয়ারে বসতে পারেননি। কারণ নেত্রী তাকে এবারের মতো সেই সুযোগটা দেননি। তবে চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্রের বাইরে মৌসুমীর ঘনিষ্ঠ অনেকেই বলছেন আগামীতে নেত্রী ঠিকই মৌসুমীকে কাছে টেনে নেবেন। দেবেন নমিনেশন। আর মৌসুমিও যাবেন জাতীয় সংসদে। অভিনেত্রী মৌসুমী থেকে রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে করবেন মানুষের সেবা।
তবে এবার সংসদে যেতে পারেননি তো কি হয়েছে? ‘লিডার’ মৌসুমী ঠিকই নেতৃত্বে এসেছেন। কথা ছিলো বিজয় দিবসেই তিনি আসবেন। এবার এলেনও বটে। তবে অনেকটা দেরি হলো তার এ আগমনে। কি ভাবছেন? মৌসুমী কিসের ‘লিডার’ হিসেবে এলে। আর কোথায়ই বা এলেন তিনি? বলা হচ্ছে মৌসুমী অভিনীত ‘লিদার’ চলচ্চিত্রের কথা। দর্শক নন্দিত এ অভিনেত্রীর ‘লিডার’ মুক্তি পেয়েছে আজ শুক্রবার (২২ মার্চ)। দিলশাদুল হক শিমুলের পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে মৌসুমী ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন চিত্র তারকা ফেরদৌস, অমর সানী, আহমেদ শরীফ, শহিদুল আলম সাচ্চু, নাদের চৌধুরী সহ অনেকে।
‘লিডার’ মুক্তির মাধ্যমে দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মৌসুমীর নেত্রীত্ব দেখতে পাচ্ছেন দর্শক। চলচ্চিত্রটির গল্পে মৌসুমীকে একজন মহিলা নেত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে বলে ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন এর নির্মাতা। কথা ছিল মৌসুমীর ‘লিডার’ আরো আগেই আসবে প্রেক্ষাগৃহের পর্দায়। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে দিলশাদুল হক শিমুল ইনকিলাবকে বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যেই জানেন ‘লিডার’ মুক্তির পেছনের কারণগুলো। ইচ্ছা ছিল আরো আগেই চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তবে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বিজয় দিবসের আগে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। চলচ্চিত্রটিতে মৌসুমীকে গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। জানি না কতোটুকু পেরেছি। তবে আমার বিশ্বাস চলচ্চিত্রটি দেখে সবার ভালো লাগবে। সেই সঙ্গে সবাইকে ‘লিডার’ দেখার আমন্ত্রণ জানায়।’
এদিকে দেশের যেসব প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘লিডার’। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলো প্রেক্ষাগৃহের নাম। রয়েছে- স্টার সিনেপ্লেক্স-ঢাকা, যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস- ঢাকা, রাজমনি-ঢাকা, পূরবী- ঢাকা, আনন্দ-ঢাকা, মুক্তি-ঢাকা, গীত-ঢাকা, সেনা অডিটোরিয়াম/ সৈনিক ক্লাব-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বর্ষা-গাজীপুর, রানীমহল-ডেমরা, গুলশান-নারায়নগঞ্জ, রজনীগন্ধা-চালা, পূর্বাশা-শান্তাহার, রাজিয়া-নাগড়পুর ও কেয়া-টাঙ্গাইল।
উল্লেখ্য,২০১৩ সালে ‘লিডার’ নির্মাণ শুরু হলে তা শেষ হয় ১৫তে। এরপর ১৬ সালের প্রথম দিকে প্রদর্শনীর অনুমতির জন্য সেন্সরে জমা দেওয়া হয় চলচ্চিত্রটি। রাজিনীতিক গল্পের এই চলচ্চিত্রটির প্রায় এক বছর পর ২০১৭ সালে ছাড়পত্র পায়। তখন থেকেই কোনো একটি জাতীয় দিবসে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়ে আসছিলেন পরিচালক শিমুল। অবশেষে এবার স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখেই তিনি চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।