চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : আমার স্ত্রী মারা গেছে, এমন অবস্থায় তার ভাগ্নির মেয়ে বিয়ে করতে পারব? শরিয়তসম্মতভাবে জায়েজ কি না?
উত্তর : স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় একই সাথে তার আপন বোন, ভাগ্নি, ভাগ্নির দিকে নাতনি কাউকেই বিয়ে করা জায়েজ নেই। বরং তাদের সাথে কঠোর পর্দা আছে। কারণ, স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাদের কোনো একজনকে বিয়ে করা যাবে। শরিয়তের মূল নীতিটি জেনে রাখলে সহজ হবে, ‘যে মেয়েটি পুরুষ হলে আপনার স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারত না এমন মেয়েকে স্ত্রীর সাথে একত্রে বিয়ে করা জায়েজ নেই।’ ওপরের সম্পর্কগুলো এমন। কিন্তু স্ত্রী না থাকা অবস্থায় অন্যসব দিকে মিল হলে এদের একজনকে বিয়ে করা জায়েজ।
প্রশ্ন: গত বছর আমার শ্বশুর মারা যান। আমার শ্বশুরের কোন ছেলে নেই। এমতাবস্থায় আমার শাশুড়ী আমাকে নিয়ে পবিত্র হজ্জ পালন করতে চান। আমার হজ্জের খরচ তিনি বহন করবেন। এটা কতুটুকু শরীয়ত সম্মত? আবার আমি কি আমার শ্বশুরের বদলী হজ্জ করতে পারব?
উত্তর : শাশুড়ীকে সাথে নিয়ে মেয়ের জামাতা হিসাবে আপনি হজ্জ পালন করতে পারেন। কারণ, আপনি তার মাহরাম (মাহরাম এমন আত্মীয়কে বলে যার সাথে বিয়েশাদি চিরতরে হারাম)। মহিলাদের হজ্জের সফরে মাহরাম থাকা জরুরী। যদি সহজে মাহরাম হজ্জ যাত্রী পাওয়া যায়, তাহলে মহিলাদের হজ্জ ফরজ হয়। অতএব, অনেক সময় দেখা যায়, মহিলারা দু’জনের খরচ জোগাতে পারলেই তাদের হজ্জ ফরজ হয়। যদি এমনিতেই মাহরাম পুরুষ নিজে হজ্জ যাত্রী হয়, তখন মহিলাদের একটি হজ্জের খরচ থাকলেও হজ্জ ফরজ হয়ে যায়। তিনি আপনার ব্যয় বহন করতে পারেন। প্রথম হজ্জটি হবে আপনার নিজের। খরচ যেই দিক, নিয়ত অনুযায়ী হজ্জ হবে। পরে অন্য সময় বদলি হজ্জ করবেন। অবশ্য নিজে হজ্জ পালন করার আগেও অন্যের বদলি হজ্জ করা জায়েজ। আপনার ওপর হজ্জ ফরজ হয়ে থাকলে শাশুড়ীকে বুঝিয়ে তার সাথে নিজের হজ্জটি করে নিন। আবার আপনি অবশ্যই বদলি হজ্জ করতে পারবেন। এটিই বরং বেশি নিয়মসিদ্ধ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।