এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
ফেসবুকে সারাদিন বিনাকারনে আমরা প্রচুর সময় নষ্ট করি। কিন্তু ফেসবুকে ব্যয় করা এ সময়টুকু ব্যয় করে ঘরে বসেই অনেক বড় ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব। ঘরে বসেই সম্ভব প্রচুর আয় করা। পুরো লেখাটি পড়ুন। আপনাকে অর্থনৈতিক স্বচ্ছল করে সাবলম্বী করতে পুরো লেখাটি একটি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে।
ই- কমার্সঃ
অনলাইনে কেনাকাটার সাথে বর্তমানের সবাই কমবেশি পরিচিত। এ প্রক্রিয়াটিকে ই-কমার্স বলে। ফেসবুকের পেজ খুলে ইকমার্স বিজনেস করলে সেটিকে, এফ কমার্স বলে। টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরির প্রয়োজন নেই এক্ষেত্রে। শুধুমাত্র ফেসবুকে একটি পেজ খুলেই ব্যবসা শুরু করা যাবে। ইতিমধ্যে দেশে অনেকেই করছেন এরকম কিছু। বাংলাদেশে এখন পযন্ত যে কয়টি ব্যক্তিগত উদ্যোগ ভাল করছে, সেগুলোর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি যদি শেয়ার করি, তাহলে কয়েকটি নাম অবশ্যই বলতে হবে। রাজশাহীর খাটি আম, সুন্দরবনের খাটি মধু, জামদানী ভিলে, কক্সবাজার ই-শপ ইত্যাদি। দেশীয় মহিলা থেকে শুরু করে স্টডেন্টরা পযন্ত সাবলম্বী হচ্ছে এফ কমার্স এর মাধ্যমে।
১) ফেসবুক মার্কেটিং দক্ষতা
যা যা জানতে হবে:
২) প্রোডাক্ট রিসার্চ
যা যা জানতে হবে:
৩) ডেলিভারি প্রসেসিং
যা যা জানতে হবে:
৪) কাস্টমার সাপোর্ট
যা যা জানতে হবে:
ইকমার্স বিজনেস এর সহযোগীতার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব)। এ সম্পর্কিত বাংলাতে অনেকগুলো বইও প্রকাশ পেয়েছে। সবচাইতে কাযকরী বই : ইনকাম@ফেসবুক । এ বইটি যে কাউকে ইকমার্স বিজনেসের জন্য পরিপূর্ণ গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে।
এ লেখাটিতে একটি সংক্ষিপ্ত গাইডলাইন দিয়ে দিচ্ছি।
১ম ধাপ (ব্যবসা সম্পর্কিত সঠিক নাম বাছাই করে ফেসবুক পেজ তৈরি):
ফেসবুকে ব্যবসা সম্পর্কিত একটি পেজ তৈরি করতে হবে। পেজের নামটি হবে ব্যবসার নাম। লং টাইম ব্যবসা করার টার্গেট করেই নামটা ঠিক করতে হবে।
২য় ধাপ (প্রফেশনাল লোগো তৈরি):
ব্যবসা সম্পর্কিত একটি সুন্দর লোগো ডিজাইন করে নিতে হবে। প্রফেশনাল কাউকে দিয়ে লোগোটা ডিজাইন করাবেন। কারণ লোগোটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই।
৩য় ধাপ (পেজের জন্য ব্যবসা সম্পর্কিত কভার ছবি তৈরি):
সুন্দর এবং অবশ্যই প্রফেশনাল একটি ফেসবুক কভার ডিজাইন করিয়ে নিন।
৪র্থ ধাপ (পেজে About সেকশনে ব্যবসা সম্পর্কিত তথ্য যুক্ত করা):
ফেসবুক পেজটির About পেজটিতে ব্যবসা সম্পর্কিত তথ্যগুলো ভালভাবে পূরণ করুন।
উদাহরণঃ https://www.facebook.com/boibazar/ এ পেজের About পেজটি দেখতে পারেন। সেখান হতে আইডিয়া নিয়ে ভাল কিছু লিখতে পারেন।
৫ম ধাপ (পেজে প্রাথমিকভাবে মেম্বার যুক্ত করা):
পেজটি প্রস্তুত। উপরের ৪টি ধাপের প্রস্তুতির জন্য সময় ২দিনের বেশি ব্যয় করা মোটেই উচিত হবেনা। তাহলে শুরুতেই আপনার পদক্ষেপ ভুল হবে। ৫ম ধাপটিতে, পেজের মেম্বার বাড়ানো শুরু করতে হবে। সবার প্রথমে নিজের ফ্রেন্ড লিস্টের সবাইকে, নিজের কাছের কোন বন্ধুকে অনুরোধ করে, তার ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে এ পেজে যুক্ত করে নেওয়ার জন্য ইনভাইট করুন। এ পদ্ধতিতেই চেষ্টা করুন পেজে ১০০০ টা লাইক যুক্ত করার।
৬ষ্ঠ ধাপ (পেজে অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি):
এ ধাপটিতে এসেই অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি শুরু করতে হবে। অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি শুরু করলে, পেজ মেম্বারও নিয়মিত বৃদ্ধি পাবে।
মার্কেটপ্লেসের বাইরে গিয়ে অনলাইনে এসব ব্যবসার ক্ষেত্রে, যে ক্রেতা, তার কাছে আপনি (ব্যবসার মালিক) একদম অপরিচিত এবং অবিশ্বস্ত। সুতরাং ক্রেতা কখনও প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার আগে আপনাকে পেমেন্ট করতে সাহস পাবেনা। আবার আপনি নিজেও পেমেন্ট পাওয়ার আগে অপরিচিত একজনকে প্রোডাক্ট দিতে রিস্ক নিবেননা। যদি ক্রেতা আপনার পরিচিত হত, তাহলে ক্রেতা আপনাকে বিশ্বাস করত ,সেক্ষেত্রে প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার আগেই পেমেন্ট দিতে তার আপত্তি থাকতনা। তেমনি আপনি নিজেও পেমেন্ট বাকি রেখে তাকে প্রোডাক্ট দিতে হয়ত আপত্তি করবেননা। তাহলে দেখা গেল , পরিচিত হওয়াটাই আসল। অনলাইনের মাধ্যমেই এখন মানুষের বন্ধুত্ব তৈরি হয়। আর এ বন্ধুত্ব তৈরির জন্যই অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। আর অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি হলেই বিশ্বাস এবং আস্থা তৈরি হবে। তখনই ক্রেতা প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার আগেই পেমেন্ট দিতে আপত্তি করবেনা।
সেরকম একটি পোস্টের উদাহরণ দিচ্ছি এখানেঃ
গত সপ্তাহে রাজশাহীতে আমার নিজের পরিচিত একটি বাগান থেকে ইকরাম ভাইয়ের কাছে ১মণ আম বিক্রি করেছিলাম। উনার পরিকল্পনা ছিল, আমগুলো ১মাস ধরে খাবে। কিন্তু ২ দিন পর দেখেছে, বেশির ভাগ আম পচে কাল হয়ে গেছে। হুমম, এটিই হচ্ছে, ফরমালিন মুক্ত আমের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
অ্যানগেজমেন্ট এবং পেজের লাইক বৃদ্ধির আরও অনেক ধরনের উপায় বের করা যেতে পারে। এগুলো এখানে আর আলোচনা করলাম না।
৭ম ধাপঃ প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য পেমেন্ট সিস্টেম): সবগুলো পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবস্থা করা না গেলেও চেষ্টা করতে পারেন জনপ্রিয় সকল পেমেন্ট সিস্টেমগুলোতে ক্লায়েন্টের পেমেন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশের জন্য বিকাশ, ব্রাক ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক এই জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে।
সব লেনদেন যতটুকু সম্ভব স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করবেন। তাহলেই সবার মধ্যে ব্যবসা সম্পর্কে আস্থা তৈরি হবে। এবং ব্যবসা অনেক বড় হবে, এবং সেই সাথে টিকবেও অনেকদিন।
আশা করি, এখানে যেটুকু গাইডলাইন দিয়েছি, তা যে কারও জন্য ইকমার্স ব্যবসায়ী হতে সহায়তা করবে। ঘরে বসেই বিজনেস করে নিজের দারিদ্রতা দূর করতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।