Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লড়াই হবে নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর

নির্বাচনে মাঠে সরব প্রচার-প্রচারনায় প্রার্থীরা

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৯, ৬:৫০ পিএম

নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে সরব প্রচার-প্রচারনায় প্রার্থীরা। তবে ভোটে আগ্রহ দেখাচ্ছেনা সাধারন ভোটাররা। তারপরও ভোটারদের দৃষ্টি আর্কষনে শিডিউল করে প্রতিদিন এলাকা টার্গেট করে উঠান বৈঠক ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। মাদক,চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত উপজেলা গড়তে এলাকা ঘুরে ভোট ও দোয়া চাইছেন সাধারন ভোটারদের। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গিকার। ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেছারাবাদ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১৩ প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে এস,এম মুইদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকে আব্দুল হক ও এনপিপি মনোনীত আম প্রতীকে মো. সিদ্দিকুর রহমান। 

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. লাভলু আহম্মেদ(উড়োজাহাজ), রনি দত্ত জয়(চশমা), মাসুম বিল্লাহ (তালা),মেহেদী হাসান সাগর(বই),মাসুম বিল্লাহ বেপারী(মাইক),বায়োজীদ আহসান(টিউবয়েল) প্রতীকে প্রতিদন্ধিতা করছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারগীস জাহান(কলস),জাহানারা বেগম(পদ্মফুল),তুলি মন্ডল(হাস),সাহারা নাসরিন(ফুটবল) প্রতীকে মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশা-পাশি প্রচার-প্রচরনায় থেমে নেই নারী প্রার্থীরাও। নারী অধিকার বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। নির্বাচনে ওই ১৩ প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নিয়ে ভোটারগন বেশি মাথা না ঘামালেও আলোচনার ঝড় তুলছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হার জিত নিয়ে।
এখানে নির্বাচনী প্রতিদন্ধিতায় মুলত চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী মাঠে থাকলেও এখানে লড়াই হবে আওয়ামীলীগ মনোনীত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম মুইদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হকের মধ্যে। এমনটাই মনে করছেন এখানকার রাজনৈতিক মহল। নৌকা প্রতীক মুইদুল ইসলামের পক্ষে আওয়ামীলীগের উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে প্রতিদিনই চালাচ্ছেন উঠান বৈঠক ও গনসংযোগ। নৌকাকে জয়ী করার জন্য চালাচ্ছেন ঘাম ঝড়া পরিশ্রম ও কৌশল। অপরপক্ষে স্বতন্ত্র আনারস প্রতীক আব্দুল হকের পক্ষেও আওয়ামীলীগের একটা অংশ মাঠে নেমে কাজ করছেন প্রকাশ্যে। তবে ভোটারদের দাবী ভোট সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হলে শেষ পর্যন্ত জয় কার পক্ষে যায় তা আগাম বলা মহা মুশকিল।
নির্বাচনী এ মুহুর্তে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কেন্দ্র করে এখানকার শাসক দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পড়েছেন কিছুটা দ্বিধা বিভক্তিতে।
১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নেছারাবাদ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৩হাজার ১শ ৪৫ জন। এর মধ্যে উপজেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে ৬ ইউনিয়ন ও পূর্ব পাড়ে ৪টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা রয়েছে। নদীর পূর্ব পাড়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুইদুল ইসলাম মুহিদের বাড়ি। যেখানে মোট ভোট রয়েছে ৬৪ হাজার ৫৪৬ ভোট। অপরপক্ষে নদীর পশ্চিম পাড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হকের বাড়ি। সেখানে মোট ভোট ৯৮ হাজার ৬০৪। যেজন্য নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এস,এম মুইদুল ইসলাম মুহিদ ওই সংখ্যা গরিষ্ট ভোটার ৬ ইউনিয়নকে প্রধান্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচার চলছে বেশ জোড়েসোরে। তবে থেমে নেই আনারস প্রতীক আব্দুল হকও। তিনিও মুহিদের ভোট ব্যাংকে হানা দেওয়ার জন্য চালাচ্ছেন নির্বাচনী নানান কৌশল।
দলীয়সূত্রে জানাগেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুইদুল ইসলাম ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ¯œাতক করেছেন। মুইদুল ইসলাম দু‘বার জলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও একবার নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হক স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি হিসাবে পরিচিত। তিনি একবার উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ