Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোদির প্রকল্পের টাকা ফেরত দিয়ে প্রতিবাদ কৃষকের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৯, ৬:৩৮ পিএম

দয়ার দান চান না, তাই ফিরিয়ে দিলেন প্রকল্পের টাকা। চাইলেন আত্মহত্যার অনুমতি। এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। প্রধানমন্ত্রীর কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা ফিরিয়ে দিলেন প্রদীপ শর্মা নামে এক কৃষিজীবী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখে জানালেন, তিনি আর বেঁচে থাকতে চান না। যোগীকে প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের দু’হাজার টাকাও ফিরিয়ে দিয়েছেন ৩৯ বছরের এই কৃষিজীবী।
উত্তরপ্রদেশের এই আলুচাষি তার চিঠিতে জানিয়েছেন, প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে তার। এই ঋণ শোধ করা কখনই সম্ভব নয়, তাই মুখ্যমন্ত্রী তাকে আত্মহত্যার অনুমতি দিলে তিনি বেঁচে যাবেন। প্রদীপ জানিয়েছেন, তিনি ও তার পরিবার দৈনিক গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থাটুকও করতে পারছেন না একেবারেই। এর আগেও তিনি জেলাশাসককেও চিঠি লিখেছেন। ২০১৬ সালে শস্যের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পরে সরকারের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন প্রদীপ। কিন্তু তিনি উত্তর পাননি সে চিঠির।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি দিয়েছিলেন প্রদীপ। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংহের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন, কিন্তু ফিরেছিলেন খালি হাতে। সরকারি প্রকল্পের দু’হাজার টাকা তার কোনও কাজে আসবে না, তাই মুখ্যমন্ত্রীকে সেই টাকা ফেরত পাঠিয়েছিলেন, সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানান প্রদীপ।
ফলন ভাল হলেও প্রায় প্রতি বছরই ফসলের দাম না পেয়ে হতাশ হতে হয় চাষিদের। মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। অথচ সরকার সেসব নিয়ে উদাসীন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভও কম হয়নি। চাষিদের সেই চিরাচরিত ছবিই আরও একবার সামনে নিয়ে এলেন এবং প্রতিবাদ করলেন প্রদীপ। ভোটের মুখে যা মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এর আগে ফসল বিক্রির টাকা পাঠিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের কৃষক সঞ্জয় শাঠে। কৃষকদের দুর্দশার কথা জানাতেই, নাসিকের নিফাদ তহশিলের সম্ভ্রান্ত চাষি সঞ্জয় বলেছিলেন, ‘ফলন ভালই হয়েছিল। স্থানীয় নিফাদ পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি এক টাকা দর দেয় ব্যাপারীরা। শেষ পর্যন্ত এক টাকা চল্লিশ পয়সা দরে রফা হয়। ৭৫০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে হাতে পাই মাত্র ১০৬৪ টাকা। সেই টাকাই পাঠিয়েছি প্রধানমন্ত্রীকে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ