মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুর পর পরিস্থিতিটা যেন আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। সেখানে বিধানসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি। ফলে, সঙ্কটের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। এদিকে, গতকাল থেকে প্রচার যাত্রা শুরু করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব কার হাতে তুলে দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে রোববার রাতেই গোয়ায় ছুটে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। রাতভর দলীয় বিধায়ক এবং বিজেপির শরিক দলগুলির সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। তবে সেই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান বেরোয়নি বলেই সূত্রের খবর।
বিজেপি চাইছে তাদের শিবির থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হবে। দলীয় সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে বিশ্বজিৎ রানে এবং প্রমোদ সবন্তের নামও প্রস্তাব করেছেন বিধায়করা। তবে এই সঙ্কটের মুখে দলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির(এমজিপি) বিধায়ক সুধীন ধাবালিকার। বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার মাইকেল লোবোর দাবি, ধাবালিকার মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দাবি করছেন। রাতভর বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে লোবো বলেন, ‘বৈঠকে নিতিন গডকড়ীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ধাবালিকার।’ লোবো আরও জনান, বৈঠকে ধাবালিকার দাবি করেছেন, গোয়াতে বিজেপিকে বহু বার সমর্থন করেছে তার দল। তাই তাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হোক। কিন্তু বিজেপি তার এই প্রস্তাবে সায় দেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন ধাবালিকার।
অন্য দিকে বিজেপির আর এক শরিক দল গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি (জিএফপি)-ও এই দৌড়ে সামিল হয়েছে। সূত্রের খবর, জিএফপি প্রধান এবং রাজ্যের মন্ত্রী বিজয় সরদেশাইও চাইছেন তাকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হোক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোয়ার এই রাজনৈতিক সঙ্কটের ফায়দা তুলতে চাইছে কংগ্রেস। এক দিকে কংগ্রেসের সরকার গঠনের তৎপরতা, অন্য দিকে দুই শরিক দলের ‘চাপ’, সব মিলিয়ে তিন কাঁটায় বিদ্ধ গোয়া বিজেপি। যে কাঁটা তুলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপিকে।
বিজেপি বিধায়ক ফ্রান্সিস ডি সুজার মৃত্যু এবং দুই কংগ্রেস বিধায়ক সুভাষ শিরোদকার ও দয়ানন্দ সোপতের ইস্তফায় গোয়ার বিধানসভার ৪০টি আসন থেকে সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ৩৭-এ। পর্রীকরের মৃত্যুর পর এই মুহূর্তে সেই সংখ্যাটা ৩৬। যার মধ্যে ১২টি বিজেপির, কংগ্রেসের ১৪টি আসন। ডি’সুজার মৃত্যুর পরেই রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহাকে চিঠি লেখে কংগ্রেস। এই মুহূর্তে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তাদের হাতে রাজ্যের ক্ষমতা তুলে দেওয়ার দাবি জানায় তারা। পর্রীকরের মৃত্যুর পর সেই দাবি আরও জোরালো করে তুলেছে তারা। কিন্তু কংগ্রেসের হাতে রাজ্যের ক্ষমতা যাতে কোনও ভাবেই না যায় মরিয়া ভাবে এখন সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় শিবির।
এদিকে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এ বার একাই উত্তরপ্রদেশে প্রচারে নামলেন প্রিয়াঙ্কা। গতকাল প্রয়াগরাজ থেকে গঙ্গাবক্ষে প্রচার যাত্রা শুরু করেন তিনি। আর শুরুতেই তোপ দাগলেন স্বঘোষিত চৌকিদার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। তার কথায়, ‘বাড়িতে চৌকিদার রাখেন বিত্তশালীরা। গরিব মানুষের সেই বিলাসিতার সাধ্য নেই। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের পাহারা দেন।’
প্রয়াগরাজের মানাইয়া ঘাট থেকে প্রচার যাত্রা শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। তাকে দেখতে নদীর পাড়ে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। নৌকো থেকেই তাদের উদ্দেশ হাত নাড়েন প্রিয়াঙ্কা। নৌকো থেকে চেঁচিয়ে তাদের হাল হাকিকত জানতে চান। সেখানে সংবাদমাধ্যমেরও মুখোমুখি হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতৃত্বের টুইটারে নামের আগে চৌকিদার বসানো নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চাইলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘নামের আগে কী বসাবেন তা একান্তই ওর ইচ্ছা। তবে এক কৃষক ভাইয়ের সঙ্গে কথা হল আমার। উনি বললেন, বিত্তশালীদের বাড়িতেই চৌকিদার থাকে। আমাদের মতো গরিব মানুষের সে সাধ্য কোথায়? আমরা নিজেরাই নিজেদের চৌকিদার।’ তবে প্রয়াগরাজে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেও, জনসভার জন্য দুমদুমা ঘাটকে বেছে নেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে আসন্ন নির্বাচনে যদিও কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে ভোট দিতে আর্জি জানান প্রিয়াঙ্কা। তবে কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে, বিচার বিবেচনা করেই ভোট দিতে বলেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।