নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত এক সপ্তায় ইউরোপিয়ান ফুটবলে কম ঘটনা ঘটেনি! চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জাদুরকরী সপ্তাহ উপহার দিয়েছেন ক্রিñিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। তবে এসব ঘটনার চেয়ে একজনকে নিয়ে আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশিÑ জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা উপহার দিয়ে সেচ্ছা পদত্যাগের প্রায় দশ মাস পর জিদান আবারো ফিরেছেন নিজের প্রিয় আঙ্গিনায়। শনিবার সেল্টা ভিগো ম্যাচ দিয়ে ডাগআউটেও তার হয়ে গেল নতুন অভিষেক। ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী তারকার ফেরাটা কেমন হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে প্রথম ম্যাচে দিয়েই তিনি দিয়েছেন অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর।
অনুমিতভাবেই একাদশে ছিল পরিবর্তন। সান্তিয়াগো সোলারির একাদশে ব্রত্য হয়ে পড়া গ্যারেথ বেল, মার্সেলো এবং ইসকোর সঙ্গে গোলপোস্টের নিচে ফেরেন কেইলর নাভাস। প্রত্যেকেই দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান। ঘরের মাঠে টানা চার ম্যাচ হারের পর সেল্টার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে দুর্দান্ত খেলেই স্কোরবোর্ডে নাম লেখান ইসকো ও বেল। তাতে সহায়তা ছিল কেরিম বেনজেমা ও মার্সেলোর। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে একাদশে ফেরেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস। একই কারণে এদিন খেলতে পারেননি কাসিমিরো। মাঝমাঠে লুকা মদরিচও ছিলেন দুর্দান্ত। তবে এটাও ঠিক, জিদান এসেছেন বলে যে রাতারাতি সব পাল্টে যাবে তা নয়।
সোলারির অধীনে দর্শরা বেলের উপর ছিলেন ত্যক্ত-বিরক্ত। তাকে উদ্দেশ্য করে দুয়ো, এমনি বিয়ারের ক্যান ছুড়ে মারতেও বাধেনি লস বø্যাঙ্কোস সমর্থকদের। গ্যালারিভর্তি সেই সমর্থকরাই এদিন বেলের জন্য গলা ফাঁটিয়েছেন। ওয়েলস তারকার শট ক্রসবারে না লাগলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পরত রিয়াল। অবশ্য বেলের ভাগ্য ভালো বলতে হয়। ৪৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি বক্সে সেল্টার ভাজকেসের মুখে কনুই মেরেও কেবল হলুদ কার্ড দেখিয়ে স্বতর্ক করা হয় ওয়েলস তারকাকে। চাইলে নিয়ম মেনেই সরাসরি লাল কার্ড দেখাতে পারতেন রেফারি। এছাড়া মার্সেলো-রামোসরাও গোলের খুব কাছে যাওয়ার পরও প্রথমার্ধে স্কোরলাইন ছিল গোলশূন্য।
৫৬তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ ভলিতে বল জালে পাঠান লুকা মদরিচ। কিন্তু শরীর স্পর্শ না করলেও তাতে প্রভাব ছিল অফসাইডে থাকা ভারানের। ভিএআরের সহায়তা নিয়ে গোলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন রেফরি। ছয় মিনিট পর অবশেষে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হয় রিয়াল। বাম প্রান্ত থেকে বেনজেমার বাড়ানো ভয়ঙ্কর ক্রসে প্লেসিং শটে গোল করেন ইসকো। ৭৭তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন বেল। মার্সেলোর বাড়ানো বল ডি বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরালো শটে গোলরক্ষকে পরাস্থ করেন সাবেক টটেনহাম তারকা।
ম্যাচশেষে একাদশে পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলেন জিদান। গোলরক্ষক নিয়ে তার যুক্তি, ‘কেইলরকে আমি পছন্দ করি, একই সঙ্গে পছন্দ করি কোর্তোকেও। থিবো দেখিয়েছে সে অসাধারণ গোলরক্ষক। তবে আমি কেইলরকেও বোঝাতে চাই সেও দলে গুরুত্বপূর্ণ।’ ‘জিজু’ বলেন, ‘একই যুক্তি মার্সেলোর ক্ষেত্রেও। এটা কোন ব্যাপার না যে কোর্তোয়া, রেগুইলন অথবা অন্য কেই ইসকোর জায়গা নিচ্ছে। আজ কেইলর খেলেছে, থিবোও খেলবে এবং আমাদের তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে লুকাও রয়েছে।’
ইসকো সম্পর্কে তার মত, ‘ইসকো কেবল ফুটবলটা খেলতে চায়। আমরা এখানে কারণ আমরা ফুটবল নিয়ে ভাবতে চাই। আমি ইসকোকে নজরে রাখতে চাই, একই সঙ্গে অন্য খেলোয়াড়দেরও। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমি দলে সবাইকেই অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।’ তবে বেলের চলতি মৌসুম সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি নন জিদান, ‘আমি বেলের মৌসুম নিয়ে মন্তব্য করব না। আরো ১১ ম্যাচ বাকি রয়েছে এবং আমি এসময় তাকে পরখ করতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে এবারও এড়ায়নি নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপে প্রসঙ্গ। তবে জিদান পরিষ্কারভাবেই বলে দেন, ‘যারা আমার খেলোয়াড় না তাদের নিয়ে আমি বলতে রাজি নই। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি তারা দারুণ মানের খেলোয়াড়। আমি কেবল পরবর্তি ম্যাচ নিয়েই ভাবছি।’
একই রাতে পরের ম্যাচে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে ২-০ গোলে হেরে যায় অ্যাটলেটিকা মাদ্রিদ। ফলে নগর প্রতিদ্ব›দ্বীদের সঙ্গে জিদানের দলের ব্যবধান মাত্র ২ পয়েন্টের। তবে এক ম্যাচ কম খেলা বার্র্সেলোনা তাদের চেয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে। গত রাতেই রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে জিতে ব্যবধানটা আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল মেসি-সুয়ারেজদের সামনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।