Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাখাইনের সংঘাত নিয়ে ইইউ সরকারের পক্ষ নিয়েছে : এএ

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আরাকান আর্মি (এএ) বলেছে যে, তারা রাখাইন রাজ্যে পুলিশ টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো বন্ধ করবে, যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন গ্যারান্টি দেয় যে, রাখাইনে আরাকানিদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানে পুলিশ আর সহযোগিতা করবে না। ইইউ বুধবার একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, আগের সপ্তাহে উত্তর রাখাইন রাজ্যের পোন্নাগিউন টাউনশিপের ইয়ো তা ইয়োকে পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে আরাকান আর্মি যে নয়জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে, সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। উত্তর রাখাইন এবং পাশ্ববর্তী চিন রাজ্যের পালেতওয়া অঞ্চলে মানবিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে তাদের সশস্ত্র সঙ্ঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। ইইউ ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকার এবং আরাকান আর্মির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা আলোচনা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ঐতিহাসিক ক্ষোভের অবসান ঘটায়। বেসামরিক জনগোষ্ঠিকে রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইইউ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বাধা না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে যে রাথেদাউং, বুথিদাউং, পোন্নাগিউন, মংডু এবং কিয়াউকতাউ টাউনশিপে মানবিক সহায়তা যেতে না দেয়ায় সেখানকার কমপক্ষে ৯৫ হাজার মানুষের দুর্দশা আরও বেড়ে গেছে। ইইউ দাবি জানিয়েছে যাতে আসন্ন বর্ষা মওসুমের আগেই ওই এলাকায় আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংগঠন এবং স্থানীয় কৃষি কর্মীদের ওইসব এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। বুধবার ইইউ-এর ওই বিবৃতি প্রকাশের পর আরাকান আর্মি ধারাবাহিক কতগুলো ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, মিয়ানমারের অন্যান্য জায়গায় সামরিক বাহিনীর সাথে যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে ফায়ার ব্রিগেড কর্মকর্তা এবং উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা। ইইউ-এর যৌথ বিবৃতি সম্পর্কে এএ মুখপাত্র উ খাইন থুখা আরাকানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ইইউ-এর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, নর্দার্ন রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্য এবং পুলিশরা সা¤প্রতিককালে যে মানবাধিকারের লঙ্ঘন করেছে, সে বিষয়টি চেপে গেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। উ খাইন থুখা বলেন, “তারা যদি বলেন যে পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের অপারেশন গ্রহণযোগ্য নয়, তাহলে আরাকান জনগোষ্ঠির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী আর পুলিশের সহিংসতাকে তারা কি বলবেন? তারা যদি এই গ্যারান্টি দেন যে এটা আর হবে না এবং পুলিশ সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে আর সহায়তা করবে না, তাহলে পুলিশের উপর হামলা করা আমরা বন্ধ করে দেবো”।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাখাইন

১৮ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ