Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু

মো. জুয়েল আক্তার | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

তখন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক। খাদ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তারা গোপালগঞ্জ স্কুল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন কাজ শেষে বাংলোতে ফেরার পথে একদল ছাত্র তাঁদের পথ আগলে দাঁড়ায়। অকপটে বলে যায় বর্ষাকালে ছাত্রাবাসের ছাদ চুইয়ে পড়া পানিতে ছাত্রদের বিছানাপত্র নষ্ট হওয়ার কথা। ছাত্রাবাসটি মেরামতের দাবি জানায় তারা। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক তাঁর স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে ১,২০০ টাকা মঞ্জুর করেন এবং ছাত্রাবাসটি মেরামত করার নির্দেশ দেন। এই ছাত্রদের নেতার নাম ছিল খোকা। হ্যাংলা, ছিপছিপে দৈহিক গঠন, তবে সুশ্রী। ছেলেটির ভালো নাম ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। খোকা নামের সেই ছেলেটি পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির ত্রাতা ও মুক্তির দিশারী। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। এক সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী এই নেতা বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে। আজ ১৭ মার্চ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল শেখ লুৎফর রহমান আর মা মোসা. সায়েরা বেগম। পরিবারের প্রথম পুত্র সন্তান ছিলেন তিনি। ৪ বোন ও ২ ভাইয়ের মাঝে তৃতীয় ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান। তাঁর বেড়ে ওঠা শুরু হয় ছায়া-ঢাকা পথ-ঘাটহীন শহর থেকে দূরে নিভৃত পল্লীতে। পণ্ডিত সাখাওয়াৎ উল্লাহর কাছে বাড়িতেই তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি। বড় হতে থাকেন তিনি। সময় অপেক্ষা করছে তাঁর ইতিহাস হয়ে ওঠার পথের দিকে চেয়ে। ১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে তাঁর স্কুল শিক্ষার শুরু গমা ডাংগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন ১৯২৯ সালে। শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা ছিলেন মাদারীপুর দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার। এরপর যখন শেখ মুজিবের বয়স ১০/১১ বছর তখন তার পিতা তাকে মাদারীপুরে নিয়ে যান। মাদারীপুরের ইসলামিয়া হাই স্কুলে তাঁকে ভর্তি করে দেওয়া হয় চতুর্থ শ্রেণিতে। এরপর তিনি আবার চলে আসেন গোপালগঞ্জে। ১৯৩৬ সালে তিনি গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন। মাদারীপুর থাকার সময়েই শেখ মুজিবুর রহমান মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন। বেরিবেরি রোগের কারণে তার চোখে ছানি পড়ে। শেখ লুৎফর রহমান ছেলেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজের বিখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক ডা. টি আহমদের কাছে নিয়ে যান। সেখানে সফল অস্ত্রপচারের পর তিনি সুস্থ হলেন। ডাক্তার তাকে পরামর্শ দিলেন চশমা পরতে। সেই থেকে তিনি আমৃত্যু চশমা পরেছেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯৩৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের বিয়ে হয় ফজিলাতুন্নেসা ওরফে রেণুর সাথে। পরবর্তীকালে এ দম্পতির ৩ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। মিশন স্কুলে ছাত্রদের সভা ডাকা হয়। তৎকালীন এসডিও ১৪৪ ধারা জারি করে সেই সভা বন্ধ করে দেন। ছাত্ররা সমবেত হয়ে মসজিদে গিয়ে সভা করে। শেখ মুজিব দাঁড়িয়ে দু’একটা কথা বলতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এটাই ছিল শেখ মুজিবর রহমানের ঘটনাবহুল জীবনের প্রথম গ্রেফতার। তখন তিনি ছিলেন নবম শ্রেণির ছাত্র। গ্রেফতারের পর সেকেন্ড কোর্টে হাজির করে দু’ঘণ্টা আটক রাখা হয় তাকে। ছাত্রদের বিক্ষোভ ও চাপে শেষ পর্যন্ত কোর্ট থেকেই তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এরপর ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন শেখ মুজিবর রহমান। ১৯৪২ সনে এনট্র্যান্স পাশ করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) ভর্তি হন তিনি। এই কলেজ থেকেই তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং বাঙালি মুসলিম নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন । এই একই সনে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। বঙ্গীয় মুসলিম লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী-হাশিম গ্রুপের সাথে তিনি ছিলেন সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এরপর তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের মহাসচিব নির্বাচিত হন।
১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগ তাঁকে ফরিদপুর জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত করে। ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৪৮ সালে শেখ মুজিব ঢাকায় আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার প্রতি কর্তৃপক্ষের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ১৯৪৯ সালের প্রথমদিকে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরই তিনি আবার গ্রেফতার হয়ে যান। তাই তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবন আর সমাপ্ত হয়নি। ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি লাভ করেন শেখ মুজিব। এ বছরের ২৩ জুন, ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক বৈঠকে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী-মুসলীম লীগ’ গঠিত হলো। একজন রাজবন্দি হিসেবে তখন তিনি ফরিদপুর জেলে অন্তরীণ ছিলেন। কারাবন্দি থেকেই শেখ মুজিব নির্বাচিত হলেন অন্যতম যুগ্ম-সম্পাদক পদে। ১৯৪৯ সালের জুলাই মাসে জেল থেকে বেরিয়েই শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। অক্টোবরে আরমানীটোলা থেকে এক বিশাল ভুখা মিছিল থেকেই গ্রেফতার হলেন মওলানা ভাসানী, শামসুল হক আর শেখ মুজিব।
১৯৫২ সাল। শেখ মুজিব তখনও জেলে। ভাষার জন্য আন্দোলন-সংগ্রামে দেশ তখন উত্তপ্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদের বাজেট অধিবেশনের দিনটিকে ঘোষণা করা হলো ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমীন আকস্মিকভাবে ১৪৪ ধারা জারি করলে গভীর রাতে কিছু ছাত্রনেতা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেন। শেখ মুজিব কারাগার থেকে এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানান এবং মহিউদ্দিন আহমদকে সঙ্গে নিয়ে অনশন শুরু করেন।
কারাগারে অনশনরত অবস্থায় স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হওয়ায় ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মওলানা ভাসানী স্বীয় ক্ষমতাবলে শেখ মুজিবকে আওয়ামী মুসলীম লীগের অস্থায়ী সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করেন। ১৯৫২ সালে চীনের রাজধানী বেইজিং নগরীতে আয়োজিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দেন শেখ মুজিব। ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে দলের সভাপতি হবার আগ পর্যন্ত তিনি এ পদে ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ১ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ বছর প্রথম তিন মাসে শেখ মুজিব ৮ বার গ্রেফতার হন। এরপর ’৬৬ এর ঐতিহাসিক ৬ দফা, স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনে, কথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারারুদ্ধ হন। ’৭০-এর নির্বাচনে তার দেয়া ৬ দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায় বাঙালি জাতি। এতে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাঙালির এই নির্বাচনে বিজয়কে মেনে নেয়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে তারা নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। আর অপেক্ষা নয়, ’৭১-এর মার্চেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠির বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বর্জকণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণে সাড়া দিয়ে সেদিন গোটা বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে নেয়। জš§ হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে ফিরেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু সেই সুযোগ বেশি দিন পাননি তিনি। ১৯৭৫ সালে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি তথা একটি শোষণমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে তিনি জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর কিছু দিনের মধ্যেই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের তপ্ত বুলেটে সপরিবারে নিহত হন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালি।
বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এই দেশ ও এই ভূখণ্ড যতদিন থাকবে, পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় যতদিন স্রোতধারা বহমান থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হবে এর সর্বত্রই, সবখানে। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান চিত্রায়িত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণেই। বিশ্বসভায় বাঙালি জাতির সগর্ব উপস্থিতিই স্মরণ করিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধুকে। এ অবিভাজ্য অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি নেই। তাই তো কবি লিখেছেন:
‘যতদিন রবে পদ্মা যমুনা/ গৌরী মেঘনা বহমান,/ ততদিন রবে কীর্তি তোমার/ শেখ মুজিবুর রহমান।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক আত্মত্যাগী মহান নেতা। পিতা-মাতার কাছে বঙ্গবন্ধু ছিলেন তাঁদের প্রিয় ‘খোকা’। সংগ্রামী জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে তার অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আর এই দেশের ভুখা-নাঙ্গা, তাপক্লিষ্ট, কুলি-কামিন, মজুর, কৃষাণ-কৃষাণী, জেলে-বাওয়ালী, বঞ্চিত শ্রেণির মানুষই ছিল তার রাজনীতির অবলম্বন। এদের জন্যই তিনি লড়েছেন। শৈশব থেকে আমৃত্যু দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করেছেন তিনি।
লেখক : চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু

৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন