নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ চার নিশ্চিত করলেও ‘এ’ গ্রুপ সেরা হতে পারেনি বাংলাদেশ। গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে স্বাগতিক নেপালের সমানে অসহায় ছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। শনিবার নেপালের বিরাটনগরস্থ সাহিদ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপাল ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে। বিজয়ী দলের হয়ে সাবিত্রা ভান্ডারি ও মাঞ্জালি কুমারী একটি করে গোল করেন। অন্য গোলটি স্বাগতিকরা পায় আত্মঘাতী। বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মাশুরা পারভীনের আত্মঘাতী গোলেই লিড পায় নেপাল। এই জয়ে নেপাল ‘এ’ গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনালে গেলেও বাংলাদেশকে রানার্সআপ হয়েই শেষ চারে খেলতে হচ্ছে। যেখানে লাল-সবুজদের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী ভারত।
বয়সভিত্তিক ফুটবলে উড়তে থাকা বাংলাদেশের মেয়েরা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে যে এখনো অপরিপক্ক তা আবারো প্রমাণ হলো। গত নভেম্বরে অলিম্পিক বাছাইয়ে তিন ম্যাচে ১৩ গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ৭-১ এবং মিয়ানমারের কাছে ৫-০ ব্যবধানে হারে লাল-সবুজরা। একমাত্র ড্র’টি ছিল এই নেপালের বিপক্ষে। ১-১ গোলে ড্র করে টোকিও অলিম্পিকের বাছাই শেষ করেছিলেন সাবিনা খাতুনরা। এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের হার। এ নিয়ে জাতীয় দল সর্বশেষ ৫ ম্যাচের ৩ টিই হারলো। একটি জিতে ও একটি ম্যাচ ড্র করেছে তারা।
বলা যায়, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ব্যর্থতার বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না বাংলাদেশ। শনিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে সেটাই প্রমাণ হলো। ম্যাচের শুরুতে মাশুরা পারভীনের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ প্রথমার্ধে আরো দু’গোল হজম করে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলেও আর কোনো গোল হজম করতে হয়নি সাবিনাদের।
যদিও ম্যাচের ৫ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এসময় কর্নার পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। পাল্টা আক্রমণে গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে কাটিয়ে নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি শট নিতে গেলে তা দারুণভাবে ট্যাকল করেন নিলুফা ইয়াসমিন নীলা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অনিতা বাসন্তির লম্বা ফিরতি শট বাংলাদেশ ডিফেন্ডার মাশুরা পারভীন হেডে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন। এগিয়ে যায় নেপাল (১-০)। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। এসময় বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ ডিফেন্ডার আঁখি ও গোলরক্ষক রুপনাকে বোকা বানিয়ে শটে গোল করেন নেপালী ফরোয়ার্ড সাবিত্রা (২-০)। এর পাঁচ মিনিট পর সাবিত্রার বাড়ানো বল কোনাকুনি শটে জাল জড়িয়ে বাংলাদেশকে কোণঠাসা করে ফেলেন মাঞ্জালি কুমারী (৩-০)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডিফেন্ডার নীলাকে তুলে নিয়ে মাঝমাঠের শক্তি বাড়াতে সানজিদা খাতুনকে নামান বাংণাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। কিন্তু তাপরও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধেও অন্তত আরো দু’টি গোলের সুযোগ নষ্ট করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ম্যাচের
৭৯ মিনিটে ফরোয়ার্ড সাবিনাকে তুলে নিয়ে মিডফিল্ডার মার্জিয়াকে নামান কোচ। কিন্তু দলের আক্রমণে প্রত্যাশিত ধার বাড়েনি। ম্যাচের যোগকরা সময়ে বাংলাদেশের মার্জিয়ার কাটব্যাক থেকে বল পান স্বপ্না। তিনি ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে তা ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে নেপাল।
এ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের মেয়েরা নেপালের কাছে পঞ্চম হারের স্বাদ পেল। এর আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১০ সালে ৩-০ ও ২০১৪ সালে ১-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজরা। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের দুই ম্যাচে ২০১০ সালে ১-০ ও ২০১৬ সালে ৩-০ গোলের হার ছিল সাবিনাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।