নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলাদেশের মেয়েরা। বৃহস্পতিবার নেপালের বিরাটনগরস্থ সাহিদ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দল ২-০ গোলে হারায় ভুটানকে। বিজয়ী দলের হয়ে মিডফিল্ডার মিশরাত জাহান মৌসুমী ও অধিনায়ক সাবিনা খাতুন একটি করে গোল করেন। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টুর্নামেন্টের শেষ চারে পৌঁছে গেল লাল-সবুজের মেয়েরা। আর টানা দুই হারে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়লো ভুটান। প্রথম ম্যাচে তারা স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল। বাংলাদেশের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে নেপালেরও সেমিতে খেলা নিশ্চিত হয়েছে। শনিবার গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল।
জিতলেই সেমিফাইনাল। এমন সমীকরণ মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবার ভুটানের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের শুরু থেকেই তারা গোলের জন্য মরিয়া ছিল। আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দিয়েও ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি সাবিনা খাতুন বাহিনী। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ও ম্যাচের শেষ দিকে একটি করে গোল পেয়ে শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানের জয় তুলে নেয় লাল-সবুজরা।
ম্যাচের ছয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু মারিয়া মান্ডার শট ভুটানের গোলরক্ষকের গ্রিপে জমে যায়। ১১ মিনিটে দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন সিরাত জাহান স্বপ্না। এসময় আঁখি খাতুনের লম্বা করে বাড়ানো বল গোলমুখে পেয়েও ভুটানের ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন স্বপ্না। প্রচন্ড গরমের কারণে কুলিং ব্রেকের পর ৩০ মিনিটে সাবিনা খাতুনের দূরপাল্লার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ৪১ মিনিটে শামসুন্নাহারের বাড়ানো বলে মিশরাত জাহান মৌসুমীর শট জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। গোলশূণ্য অবস্থায় দু’দল বিরতিতে গেলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় টুর্নামেন্টের বর্তমান রানার্সআপ বাংলাদেশ। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে মনিকা চাকমার কর্নারে ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় হেড করার পর জটলার মধ্য বল পান মৌসুমী। বল পেয়েই তিনি আর দেরী করেননি, প্লেসিং শটে ভুটানের জাল কাঁপান (১-০)। পিছিয়ে পড়ে গোল শেধে মরিয়া হয়ে ওঠে ভুটান। কিন্তু বাংলাদেশ ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। উল্টো
৮২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েও তা নষ্ট করে বাংলাদেশ। এসময় বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা শামসুন্নাহারের ক্রস থেকে পাওয়া বল তহুরা খাতুন বাড়ান স্বপ্নাকে। কিন্তু বাংলাদেশ ফরোয়ার্ডের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান ভুটানের গোলরক্ষক সঙ্গিতা মনগের। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে অধিনায়ক সাবিনার একক প্রচেষ্টার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। এসময় বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন গত সাফে ছয় গোল করা বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন (২-০)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
এর আগে ২০১০ সালে সাফের প্রথম আসরে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করলেও ২০১২ সালে দ্বিতীয় আসরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ভুটানকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।