মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইঙ্গিত আগেই দিয়ে ছিল আর সেই ইঙ্গিতই এবার স্পষ্ট হল। গত তিন বারের ধারা বজায় রেখে এবারেও ভারতের পাশে দাঁড়াল না চীনা। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণায় ফের বাধা হয়ে দাঁড়াল চীনা। জাতিসংঘের ভারতের পেশ করা প্রস্তাবে ফ্রান্স, আমেরিকা ও ব্রিটেন সম্মতি দিলেও, চিনের ভেটো দানে এবারও ধাক্কা খেল ভারত। খবর এএফপি।
আগেই বেইজিং-এর দাবি ছিল, ‘এমন সমাধান যা কি না সব পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে’- সে রকম পথই খুঁজতে হবে। বেজিং-এর এই অস্পষ্ট অবস্থানের মাঝেই আমেরিকা জানিয়ে দেয়, এ যাত্রায়ও যদি মাসুদকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী তালিকায় তোলা না যায় তাহলে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থার জন্য তা খুবই ক্ষতিকর হবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পর বিমান হামলা করার পাশাপাশি সন্ত্রাবাদী দমনে আন্তর্জাতিক সহায়তাও চাইতে শুরু করে ভারত। যার জেরে ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের নিষিদ্ধ তালিকায় ফের মাসুদের নাম ঢোকানোর জন্য নতুন করে প্রস্তাব আনে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও আমেরিকা। নিয়ম অনুযায়ী সেই দিন থেকে দশটি কর্মদিবসের মধ্যে ওই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। আর সেই অনুসারে এদিন ভোটা-ভুটিতে ফের ভারতের আনা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিল চীনা।
জৈশ-প্রধানকে এর আগে যে তিন বার নিষিদ্ধ তালিকায় তোলার চেষ্টা করেছিল ভারত, তাতে একমাত্র ভেটো দিয়েছিল চীনা-ই। তাদের দাবি ছিল, মাসুদকে সন্ত্রাসবাদী প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। আমেরিকা কিন্তু এ বারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা হওয়ার আগে স্পষ্ট জানিয়ে দিল, মাসুদকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার মতো ইতিমধ্যেই যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু এবার তে হল না চিনের বাধা। এই সিদ্ধান্ত শান্তির পরিপন্থি বেইজিং-এর ভেটো দানের পর এমনটাই জানানো হয়েছে আমেরিকার তরফে।
পাকিস্তানভিত্তিক জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের নাম কালো তালিকায় রাখতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে চীন ভেটো দেয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে প্রতিবেশী ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।