রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বাঙালির প্রাত্যহিক জীবনে চা একটি অন্যতম অপরিহার্য উপাদান। ভোরে নাস্তার টেবিল থেকে শুরু করে সবখানেই চায়ের কদর। চা ছাড়া যেন কেউ চলতেই পারেন না।
চায়ের চাহিদা বাড়লেও চায়ের মান উন্নয়ন নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। এ নিম্নমানের চোরাচালানীর মাধ্যমে ভারতীয় কেমিক্যালযুক্ত চায়ে কুষ্টিয়ায় বাজার সয়লাব হয়েছে।
চোরাপথে আসা ভারতীয় চায়ের জমজমাট ব্যবসা চলছে শহরসহ জেলার ৬টি উপজেলার পল্লী এলাকায়। দেশী চায়ের তুলনায় দাম কম হওয়ায় জেলার হাটবাজার ও গ্রামগঞ্জে দোকানদারেরা ভারতীয় চা বিক্রি করছেন। এতে দেশী কোম্পানির চা বিক্রি যেমন কমে গেছে। তেমনি ভারতীয় নিম্নমানের চা পান করে কিডনীসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেক চা পানকারীরা।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় চায়ের বাজার দখল করেছে ভারতীয় কেমিক্যালযুক্ত নিম্নমানের চা। দেশের চা শিল্প ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে ভারতীয় একটি চক্র। এদেশীয় দোসররা ও সংঘবদ্ধ চোরাচালানী চক্র কুষ্টিয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে নিম্নমানের এ চা। কুষ্টিয়ার সীমান্ত এলাকাসহ সীমান্তের ‘চোরাপকেট’ দিয়ে দেদারসে পাচার হয়ে আসছে ভারতীয় নিম্নমানের চা। সীমান্তের চোরাপকেটগুলো দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারতীয় এই নিম্নমানের চা পাচার হয়ে আসছে। সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা সড়ক ও রেলপথ চা পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে।
ভারতীয় চা বাঘ মার্কা, মহারাণী, ভিআইপি, সুরমা, হরিণসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চা জেলার দোকানগুলোতে কম দামে বিক্রি করছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য যা হুমকি স্বরূপ বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা।
এসব চায়ের গুণগত মান নির্নয় ছাড়াই হরহামেশা বাজারজাত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে অভিজ্ঞরা। অধিক লাভের আশায় চা দোকানিরা কোমল পানিও চা তুলে দিচ্ছেন চা পানে অভ্যস্থ ভুক্তভোগীদের হাতে। দেশীয় বাজারের তুলনায় কমমূল্যে এসব চা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে এদেশের হাট-বাজার, শহর-বন্দর-গ্রামে। প্রশাসন কিংবা সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের এ ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা নেই। এসব নিম্নমানের চায়ে কুষ্টিয়ার চায়ের বাজার দখল করেছে বলে চা শিল্প ও ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও ভুক্তভোগীরা এই তথ্য জানিয়েছেন। তাদের মতে, পাচার হয়ে আসা ভারতীয় নিম্নমানের এই চা স্বাস্থ্যসম্মত নয় এবং তা মেয়াদোত্তীর্ণ। ব্যবসায়ীদের মতে, দেশের চা শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার পাশাপাশি নিম্নমানের এই চা ঢুকিয়ে দিয়ে চা পানে অভ্যস্তদের সাথে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারণা করছে। অপরদিকে মানুষ কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে চোরাইপথে আসা এসব চা-পাতায় রং মেশানো থাকে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ভারতীয় পাতা এনে বিভিন্ন স্থানে রং,কেমিক্যাল ব্যবহার করে। রং মেশানো থাকায় অল্প পরিমাণে চা-পাতা ব্যবহার করেও বেশি পরিমাণে চা তৈরি করা যায়। চায়ের রং বেশ ভালো হয়। ভারতীয় নিম্নমানের চায়ে পানি ঠান্ডা থাকলেও চা তৈরি করা যায় কিন্তু দেশীয় ভালো মানের চায়ে পানি হিট করতে হয় তাই ব্যবসায়ীরা পানি গরম করার ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে ভারতীয় নিম্নমানের চা বিক্রি করে। এছাড়াও দেশী চায়ের তুলনায় এর দাম অনেক কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।