মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে কয়েকটি রাজ্যে মুসলিমরা যাতে ভোট না-দিতে পারেন, সে কারণেই রোজার মাসে ভোট ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনের বড় ভিত্তি বলে ধরা হয়। দলের মুখপাত্র ও কলকাতা শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, মুসলিম-অধ্যুষিত বিহার, উত্তরপ্রদেশ বা পশ্চিমবঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করা হয়েছে, যাতে ওই সব রাজ্যের মুসলিমদের ভোট থেকে দূরে রাখা যায়।
ভারতের আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোট হবে নজিরবিহীন সাত দফায় - অর্থাৎ সারা দেশে যে সাতদিন ধরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার প্রতি দিনই রাজ্যের একাধিক আসনে ভোটগ্রহণ চলবে। এর মধ্যে শেষ তিন দফার ভোটগ্রহণ হবে রমজান মাসের ভেতর, মে মাসের ৬, ১২ আর ১৯ তারিখে। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি, ২৪টিতে ভোট হবে এই তিনদিনে - আর তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে মুসলিমদের ভোটের বুথ থেকে দূরে রাখতেই এভাবে নির্বাচনী তফসিল স্থির করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার ও উত্তরপ্রদেশের দৃষ্টান্ত দিয়ে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলছেন, ‘এর প্রতিবাদ বাংলার মানুষ ব্যালট দিয়েই করবেন। বিজেপিও বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল!’ তিনি বলেন, ‘আজকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় নির্বাচন করানোর অর্থ হচ্ছে, রমজানের মধ্যে ভোট করাও - যাতে সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা ভোট দিতে না-পারে।’
তৃণমূল কংগ্রেস আরও মনে করছে, ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাস আছে গুজরাটের মতো যে সব রাজ্যে - সেখানে যদি মাত্র একদিনে ভোট করানো যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে সাতদিন ধরে ভোট করানোর বা ভোট প্রক্রিয়াকে রমজান মাস পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও যুক্তিই থাকতে পারে না।
তবে বিজেপি বলছে, সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য নিয়েই এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে - এবং দেশের মুসলিম নেতারাও অনেকেই তৃণমূলের অভিযোগকে আমল দিচ্ছেন না। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রথম সারির নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি বলেন, রমজানের দোহাই দিয়ে তৃণমূল আসলে একটা সাম্প্রদায়িক তাস খেলতে চাইছে। আর দ্বিতীয় কথা হল, পশ্চিমবঙ্গে যে সাত দফায় ভোট করাতে হচ্ছে সেটাই বলে দিচ্ছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গেছে। রাজ্যে যত বেশি দফায় ভোট হবে, আসলে তত বেশি নিরাপত্তাবাহিনী বিভিন্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে - আর মানুষ ভরসা করে ভোট দিতে বেরোবেন।
এ বিষয়ে হায়দারাবাদের এমপি ও এমআইএম দলের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রমজানের প্রসঙ্গ টানা একেবারেই সমীচীন হয়নি। বরং ওয়াইসি বলছেন, তার ধারণা রোজার মাসে মুসলিমদের অন্যান্য জাগতিক কাজকর্ম তুলনায় কম থাকায় তাদের ভোটদানের হার বাড়বে বৈ কমবে না! সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।