মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প শুরু করেছে দেশ জুড়ে। জোর দেওয়া হয়েছে শৌচাগার নির্মাণে, তার পক্ষে ব্যাপক প্রচারও চলছে। যদিও শৌচাগার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে এখনও জেরবার ভারতের মহিলারা। প্রিয়াংকা ভারতীর জীবনের গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ সিনেমায় দেখানো হয়েছিল সমস্যার কিছুটা অংশ। কিন্তু শহরে টয়লেটের অপ্রতুলতার দরুণ ফুটপাতবাসীরা যে অসহায়তার মধ্যে থাকেন, তার খবর দেওয়ার জন্য কোনো চলচ্চিত্র তৈরি হয়নি। ক’জন জানেন যে ফুটপাতে রাত কাটানো মহিলাদের ভরসা নিকটবর্তী সুলভ শৌচালয় বা নালা-নর্দমা।
ভারত পরিচ্ছন্ন হচ্ছে, কিন্তু মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচালয় তৈরি হচ্ছে না কেন, এই প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছিল অঙ্কিতা সেনগুপ্তকে। বছর পঁচিশের এই তরুণী সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যে পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, তা দুঃসাহসিক বলা চলে।
গত বছর মহিলাদের শৌচালয় সমস্যা ঘিরে অঙ্কিতার একটি কীর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছিল। বালিগঞ্জ স্টেশনের ধারে রেললাইনে অনেক পুরুষই শৌচকর্ম সারছিলেন। সেখানে অঙ্কিতা আচমকা শৌচকর্ম করার ভঙ্গিতে বসে পড়েন। স্বাভাবিকভাবেই বিস্ফারিত চোখ আর বিদ্রুপ ধেয়ে আসে তার দিকে। সেদিন মেয়েদের এই সমস্যার কথা জনসমক্ষে তুলে ধরতে অঙ্কিতার অস্বস্তি হয়নি, কারণ তার উদ্দেশ্য ছিল মহৎ। স্টেশনে উপস্থিত জনতার চোখে আঙ্গুল দিয়ে তিনি দেখিয়েছিলেন মেয়েদের অসুবিধার কথা। এই কাজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তার প্রশংসা করেছেন, আবার বিদ্রুপও জুটেছে। রীতিমতো ট্রোলড হতে হয়েছে তাকে। এমনকি বাড়িতে অভিভাবকের কাছ থেকে বকুনি শুনতে হয়েছে। রাস্তাঘাটেও কটূক্তি অঙ্কিতার পিছু ছাড়েনি। তবে তিনি সাড়াও ফেলেছেন, সাফল্যও পেয়েছেন। নির্দিষ্ট স্থানে তৈরি হয়েছে শৌচালয়। রাতে নিরাপত্তারক্ষীসহ সুলভ শৌচালয়ের ব্যবস্থাও হয়েছে।
‘প্রান্তকথা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী অঙ্কিতা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল সমাজের জন্য কিছু করার। আমাদের দেশে অনেক মেয়ে, শুধু মেয়ে কেন, অনেকেই নিজের কথাটা বলতে পারে না। আমি শুধু সেই কথাটাই বলেছি। সত্যিটা কঠোর ভাবে সবার সামনে তুলে ধরায় কিছুটা ব্যঙ্গ জুটেছে, তবে সাফল্যও পেয়েছি।’
উল্লেখ্য, ‘নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত ভারতে প্রতিদিন প্রায় একশ’ নারীর ওপর যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের অভিযোগ পায় পুলিশ। ২০১৬ সালে ভারতের পুলিশ প্রায় ৩৯ হাজার নারীর ওপর আক্রমণ বা হয়রানির অভিযোগ পেয়েছিল, যা তার আগের বছরের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি ছিল। ভারতের নারীরা যৌন হয়রানি বা ধর্ষণ ছাড়াও, পাচার, জোর করে কাজ করানো, আয় বৈষম্য, অ্যাসিড নিক্ষেপ ইত্যাদির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।