Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফের পিস্তল শনাক্তে ব্যর্থ স্ক্যানার

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

বিশেষ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ফের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্ক্যানারে ধরা পড়লো না যাত্রীর গুলিসহ পিস্তল। গত শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। খেলনা পিস্তল দিয়ে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল ধরতে না পারার রেশ কাটতে না কাটতেই এ ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। 

গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দরে সাধারন যাত্রীদের অস্ত্র ও গুলি আর্চওয়েতে ধরা না পড়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। বিমান বন্দর ও বিমানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা খুবই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাইরে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থা এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
বিমান সূত্র জানায়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ১৩১ ফ্লাইটে সিলেটে যাওয়ার জন্য শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আসেন মোহাম্মদ মামুন আলী। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের প্রথম গেটের আর্চওয়েতে তার শরীর তল্লাশি করেন আনসার সদস্য রিপন। তার সঙ্গে পিস্তল ও ৭ রাউন্ড গুলি থাকলেও শনাক্ত করতে পারেননি দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীরা।
আর্চওয়ে পার হওয়ার পর মামুন নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে জানতে চান, আপনাদের চেকিং কি শেষ হয়েছে? ওই আনসার সদস্য জবাবে হ্যাঁ বললে যাত্রী মামুন বলেন, আপনি কী চেক করলেন, আমার কাছে তো পিস্তল আছে। এরপর তিনি পিস্তল বের করে লাইসেন্সও দেখান।
সূত্র জানায়, এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শাহজালালের এভিয়েশন সিকিউরিটির ফোর্সের (এভসেক) পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী ওই যাত্রীকে অফলোড করার জন্য ইউএস-বাংলাকে বলেন। লিখিত কোনও ডকুমেন্ট না দেয়ায় মামুন আলীকে অফলোড করেনি ইউএস-বাংলা। পরবর্তীতে যাত্রী মামুন পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নিয়ম মেনে সঙ্গে করে সিলেটে নিয়ে যান বলে সূত্র জানায়।
পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, যাত্রী অস্ত্র থাকার বিষয়টি আগে ঘোষণা দেননি। তবে নিরাপত্তা কর্মীরা অস্ত্র শনাক্ত করার পর তাকে যথাযথ নিয়মে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘটনার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এমনটা করছে।



 

Show all comments
  • Ruksana Rima ১০ মার্চ, ২০১৯, ২:৪৮ এএম says : 0
    পিস্তল ধরা পড়ে না কিন্তু সামান্য শুটকি আনতে গেলে ঠিকই ধরা পড়ে
    Total Reply(0) Reply
  • Moinul Islam ১০ মার্চ, ২০১৯, ২:৪৮ এএম says : 0
    এই ধ্বজভঙ্গ এয়ারপোর্ট সিলগালা করে দেয়া হোক,,,,,,,, পৃথিবীর যত ছ্যাচড়া চোর ও দূর্নীতিবাজরা এই এয়ারপোর্টে জব করে, এইসব ছোটলোক কুলাঙ্গার গুলা শুধু চুরি চামারি করতেই জানে,,,অথচ চরম অব্যাবস্থাপনা, যেখানে সেখানে দূর্গন্ধ, নোংরা ও ধূলাবালী । আমার দেখা সবচাইতে বাজে এয়ারপোর্ট ।
    Total Reply(0) Reply
  • Earsad Ali ১০ মার্চ, ২০১৯, ২:৪৯ এএম says : 0
    ইলিয়াস কাচ্ঞন এক জন সত্য বাদি তার প্রমান হয়ে গেল। তা হলে এত ঘটা করে মন্ত্রনালয়ের মিথ্যা বলার কি দরকার ছিল।ভুল স্বীকার করলে কি হত
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hassan Khan Babla ১০ মার্চ, ২০১৯, ২:৪৯ এএম says : 0
    বিমান সচিব মহোদয় এখনও কি বলবেন, ইলিয়াস কাঞ্চন ভুল ছিল? এয়ারপোর্ট এর স্ক্যানার ঠিক ছিলো? বিমানবন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে স্ক্যানারগুলো ঠিক করান।
    Total Reply(0) Reply
  • مزمل بن جمال ১০ মার্চ, ২০১৯, ২:৫০ এএম says : 0
    আমাগো এয়ারপোর্টে শুধু সোনা(স্বর্ণ) আর প্রবাসীদের কষ্টার্জিত মুল্যবান জিনিসপত্র ধরা পরে।কিন্ত খেলনার পিস্তল ধরা পরে না!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Al Imran Khan ১০ মার্চ, ২০১৯, ২:৫০ এএম says : 0
    Better no Need to keep scanning machines in airport. Really shame on for us. We developed our infrastructure very rapidly and tremendously. Every time our government announced made Bangladesh digital as a result we exhibited robat(Sofia) in our contury. But matter of sorrows that we cannot developed our technology as well by the demand of modern world which is very shame.
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুর রহমান ১১ মার্চ, ২০১৯, ৯:০০ এএম says : 0
    কি শুরু হচ্ছে এসব বাংলাদেশের প্রধান বিমান বন্দরে?? এটাই কি ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল নমুনা!!!! এতে করে বাংলাদেশের বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের খুব সুনাম হচ্ছে।।। বার বার,অশিক্ষিত,দুর্বল চেকিং ট্রেনিং ব্যাবস্থার কারনে ইন্টারনেশনাল সন্ত্রাসীচক্র যে অস্ত্র ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশকে ভাল মাধ্যম হিসাবে বেচে নিবে এটা নিয়ে কি কতৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা আছে!! আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে বলছি,, সম্পূর্ণ চেকিং ব্যবস্হার লোকদের অন্য যায়গায় কাজে স্থানান্তরিত করে গুরুত্বপূর্ণ চেকিং ব্যবস্থায় পরিপূর্ণ শিক্ষিত ও আধুনিক প্রশিক্ষণের ট্রেনিং এর মাধ্যমে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হক।।। আমি মনে এছাড়া এত সহজে এ সমস্যার সমাধান হবে না।।।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পিস্তল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ