করাচিতে পিএসএল ফাইনাল দেখতে বিসিসিআই অফিশিয়ালদের নিমন্ত্রণ করেছে পিসিবি। বিসিসিআই এই নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে
সীমান্তে সংঘাত চলেছে কিছুদিন আগেও। যুদ্ধ প্রায় লেগেই গিয়েছিল দুই প্রতিবেশী দেশের। পাকিস্তান ভারতীয় পাইলটকে ফেরত দেওয়ায় পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় শান্ত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) তাঁদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু প্রতিবেশী দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনাল দেখতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ করেছিল পিসিবি।
১৭ মার্চ করাচি স্টেডিয়ামে গড়াবে পিএসএল ফাইনাল। এই ম্যাচ দেখতে শুধু বিসিসিআই নয় অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদেরও আমন্ত্রণ করেছে পিসিবি। বাদ পড়েনি আইসিসিও। সংস্থাটির সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর, প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে পিসিবি। তবে পিসিবি সভাপতি এহসান মানি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিসিআই। পিএসএল ফাইনাল দেখতে আসছেন না বিসিসিআইয়ের কোনো কর্মকর্তা।
পিসিবি সভাপতি জানান, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পিএসএল ফাইনাল দেখতে পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সি কে খান্না। একই কারণে যেতে পারবেন না আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরও—যিনি একজন ভারতীয়। মানি বলেন, ‘খান্না ও মনোহর দুজনেই ব্যক্তিগত কারণে পাকিস্তানে এসে ফাইনাল দেখার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।’ তবে আইসিসির প্রধান নির্বাহী রিচার্ডসন ফাইনাল দেখতে করাচিতে থাকবেন।
ভারত, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডকে দাওয়াত করেছে পিসিবি। এসব দেশের বোর্ডকে বলার পেছনে একটি উদ্দেশ্যও আছে পিসিবির। মানি বলেন, ‘তাদের ডাকার কারণ হলো, এখানে এসে তারা ফাইনালের আয়োজন দেখলে পাকিস্তানে নিরাপত্তার ব্যাপারে সবার ভুল ভাঙবে। পাকিস্তানে যে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা যায় আমরা তা নিশ্চিত করতে চাই।’২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার দলীয় বাসে হামলা করেছিল সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে পাকিস্তানে। বড় কোনো দল আর পাকিস্তান সফরে যায়নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও দেশটিকে বিশ্বকাপ জেতানো সাবেক অধিনায়ক
ইমরান খান পিএসএল ফাইনাল দেখতে স্টেডিয়ামে আসবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি বোর্ড। এদিকে পিসিবির সূত্র মারফত পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, তাদের বোর্ড বিসিসিআই অফিশিয়ালদের ফাইনাল দেখার জন্য দাওয়াত করেছে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের আগে। এমন কিছু ঘটবে তা আঁচ করতে পারলে পিসিবি নাকি বিসিসিআইকে দাওয়াত করত না!