বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহ জেলা জজ ও দায়রা আদালতে বার ও বেঞ্চের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। তবে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা ফিরেছে বলেও জানান তারা। আর এ সবই হয়েছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আইনজীবী-কর্মচারী বিরোধের জের ধরে। এমন দাবি আইনজীবী ও বেঞ্চ সংশ্লিষ্টদের।
তবে এ ধরনের আচরনকে বৈরীতার প্রকাশ বলেও মন্তব্য করেছেন কোন কোন আইনজীবীরা। তাদের ভাষ্য মতে, বিচারিক কর্মকান্ডের সব ক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ দেখাচ্ছেন বিচারক এবং বেঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে ভোগান্তি বাড়ছে বিচার প্রার্থীদের। কিছুটা বেকায়দার পড়েছেন আইনজীবীরাও। কেন নয়, আগে একজন আইনজীবী মামলার প্রয়োজনে চাইলেই নথি দেখার সুযোগ পেত। এখন সে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। নতুন নিয়মে নথি দেখতে হলে ১২টার কোর্ট ফি খরচ করে দরখাস্ত করতে হয়। এরপর অনুমতি বা শুনানী শেষে নথি দেখতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপনে ক্লাইন্ট সন্তুষ্টিতে চাপের মুখে পড়েছেন আইনজীবীরা। সেই সাথে একই কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। বাড়ছে ভোগান্তিও।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন জজ আদালতের একাধিক বেঞ্চ সহকারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, বার ও বেঞ্চের মধ্যে দ্বায়িত্ব পালনে আন্তরিকতা না থাকলে কিছুটা ভোগান্তি তো বাড়বেই। কারন কর্মক্ষেত্রে আন্তরিকতা কাজে গতি বাড়ায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেঞ্চ সংশ্লিষ্টরা আইনের কঠোর প্রয়োগে সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করার অঙ্গিকারে বদ্ধপরিকর। এখন আর আগের মত হাজিরা দাখিলা, জামিননামা প্রেরন বা রি-কল আবেদনে অনৈতিক লেনদেন নেই বেঞ্চ সংশ্লিষ্টদের। ফলে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞ কৌশলীরাও। কারন এখন তারা চাইলেও ক্লাইন্ট সন্তোষ্টিতে চমকপ্রদ কোন সফলতা দেখাতে পারছেন না।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. জালাল উদ্দিন খান। তিনি বলেন, কিছুটা দূরত্ব তো আছেই। এতে আইনজীবীদের কোন সমস্যা নেই। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। তবে জজ না থাকার কারনে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন জজ যোগদান করলেও এ সমস্যা থাকবে না বলেও জানান তিনি।
তবে বার ও বেঞ্চের মধ্যে দূরত্ব নেই বলে দাবি করেছেন ময়মনসিংহ জজ আদালতের নাজির আ: হালিম। তাঁর ভাষ্যমতে, আইনের দৃষ্টিতে কোন দূরত্ব বাড়েনি। যেহেতু আমরা সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সেহেতু সবার উচিত আইন মেনে চলা। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: হাসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি বার ও বেঞ্চের মধ্যে কোন দূরত্ব মনে করছি না। সব ঠিক আছে। এবং সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আছে বলেই আমি মনে করি।
তবে বিচারপ্রার্থী ও সচেতন মহলের দাবি, অতীতের বিভেদ ভুলে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে সকলের মধ্যে সচেতন আচরন প্রতিষ্ঠা হোক। কারন বিচালায়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হলে বার ও বেঞ্চের মধ্যে আন্তরিক সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।