মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া তার ক্রুদের বলেছে, যাত্রীদের উদ্দেশ্য করে ঘোষণার সময় তাদের প্রতিবার 'জয় হিন্দ' বলতে হবে।
এ নিয়ে যে নোটিশ জারি করা হয়েছে তাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে : "ঘোষণার পর সামান্য সময় থামতে হবে, তারপর যথেষ্ট উদ্দীপনার সঙ্গে শব্দটি বলতে হবে।"
এই নির্দেশ প্রকাশের সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক হাস্যরস ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শুধু দেশপ্রেমের বুলি দিয়ে কি লোকসানের মুখে থাকা বিমান সংস্থাকে বাঁচানো সম্ভব হবে?
এয়ার ইন্ডিয়া ২০০৭ সাল থেকে কোনো লাভের মুখ দেখেনি। সরকার সম্প্রতি এর মালিকানার অংশ বিক্রি করতে চাইলেও কেউ সে ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায়নি।
'জয় হিন্দ' বলার এই নির্দেশটি এমন এক সময়ে এল যখন পাকিস্তানের সাথে সংঘাত নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনা তুঙ্গে।
তবে ভারতের মধ্যে অনেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার 'জয় হিন্দ' বলার নির্দেশকে সমর্থন জানালেও, বিমান যাত্রায় ইন-ফ্লাইট ঘোষণার সময় প্রতিবার কিভাবে 'জয় হিন্দ' বলা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
অনেকে এটা নিয়ে ঠাট্টা-তামাসাও করেছেন।
যেমন, টুইটারে একজন লিখেছেন : "ভদ্রমহিলা এবং মহোদয়গণ, ঝড় আসছে, জয় হিন্দ। সিট বেল্ট বেঁধে রাখুন, জয় হিন্দ। এখন আর টয়লেটে যেতে পারবেন না, জয় হিন্দ।"
আরেকজন লিখেছেন : "ভদ্রমহিলা এবং মহোদয়গণ, আপনার ফ্লাইটে ১০ ঘন্টা বিলম্ব হবে। জয় হিন্দ।"
একজন তো পরামর্শ দিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে কে কত জোরে 'জয় হিন্দ' বলতে পারে তা নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে। পুরষ্কার হিসেবে বিজয়ী যাত্রীকে ফ্রি আপগ্রেড দেয়া হবে।
এর গ্রাহক সেবার মান নিয়ে প্রায়শই সমালোচনা হয়।
সর্বসম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সিটে ছারপোকার প্রাদুর্ভাব নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছিল।
সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।