মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন পাকিস্তানে ভারতীয় বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা জানাননি। কেউ নিহত হয়েছে কিনা বা কতজন নিহত হয়েছে সে সম্পর্কেও সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র সচিবকে টেনে এনেছেন তিনি। কিন্তু বিমান হামলার দিন সরকারি ভাবে কিছু বলা না হলেও সব সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে ৩শ’ জঙ্গি নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রোববার ২৫০ জন জঙ্গি নিহত হওয়ার দাবি করেছেন। অন্যদিকে ভারতের বিমান বাহিনী প্রধানও বিমান হামলায় নিহত জঙ্গির কোনো সংখ্যা না জানিয়ে বেেছন, নিহতের সংখ্যা গোনা আমাদের কাজ নয়। এ প্রেক্ষিতে ভারতের সংবাদ এখন মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে যে বালাকোটে অভিযানে নিহত জঙ্গির সংখ্যা যা বলা হয়েছে তা গুনল কে? অমিত শাহই বা সংখ্যাটা জানাচ্ছেন কী করে? খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিমান হামলায় নিহতদের সংখ্যা বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কদিন কোনো কথা বলেননি। চেন্নাইতে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে তিনি নিহতের সংখ্যা না জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা সচিব বিজয় গোখেলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সরকারের অবস্থান প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, এটা সামরিক হামলা ছিল না।
ভারতের জঙ্গি বিমান বহর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বালাকোটে কথিত জঙ্গি শিবিরে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। এদিন বিজয় গোখেল বলেন, এটি ছিল এক অসামরিক আগামনিরোধমূলক বিমান হামলা। তিনি তার বক্তৃতায় কোনো নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করেননি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান হামলায় বহু সংখ্যক জইশ-ই-মোহাম্মদ সন্ত্রাসী, প্রশিক্ষক, সিনিয়র কমান্ডার ও প্রশিক্ষণ গ্রহণরত জিহাদিদের কয়েকটি গ্রুপকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র সচিব এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছেন। এটাই সংখ্যা। এনডিটিভি জানায়, পররাষ্ট্র সচিব নিহতের কোনো সংখ্যা জানাননি। সোমবার অমিত শাহ গুজরাটে ঘোষণা করেন, বিমান হামলায় মারা গিয়েছে আড়াইশোর বেশি জঙ্গি। এই বিবৃতির পরেও সোমবার পর্যন্ত সরকারের তরফে কেউ জানাননি, সংখ্যাটি ঠিক না ভুল।
এদিকে ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান বি এস ধানোয়া সোমবার বলেন, তারা লক্ষ্যভেদ করেছেন। কত জঙ্গি নিহত হয়েছে? এর জবাবে ধানোয়া বলেন, নিহতদের লাশের সংখ্যা গোনা আমাদের কাজ নয়, সরকারের কাজ।
বিমান হামলায় নিহতদের ব্যাপারে সরকার গোড়া থেকেই চুপ। প্রথম দিন অসমর্থিত ‘সেনা সূত্র’ থেকে ৩০০ জঙ্গির মৃত্যুর কথা বলা হয়। কিন্তু সেদিনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, নিহতের সংখ্যা নিয়ে সরকার কিছু বলেনি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী এস এস অহলুওয়ালিয়া বলে বসেন, জঙ্গি হত্যা নয়, পাকিস্তানকে বার্তা দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল। সেটা দেয়া গিয়েছে।
এর পরেই অমিত শাহ মুখ ২৫০ জঙ্গি নিহতের দাবি করেন। কংগ্রেস সোমবার প্রশ্ন তোলে, প্রধানমন্ত্রী কিছু জানাচ্ছেন না কেন? প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে অভিযানের সিদ্ধান্তে শরিক করা হয়নি। অমিত শাহ কোথা থেকে নিহত জঙ্গির সংখ্যা জানতে পারলেন? তিনি তো সরকারের কেউ নন! নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভার সদস্যও নন। তা হলে কে তাকে জানালেন? আর কোন এক্তিয়ারেই বা জানালেন?
কংগ্রেসের পি চিদম্বরম সোমবার বলেন, বিমান বাহিনী নিহত জঙ্গির সংখ্যা জানাচ্ছে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতেও কিছু বলা হয়নি। কে তা হলে এই জঙ্গির সংখ্যা গুনল? কে সংখ্যা জানাচ্ছে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা কপিল সিব্বলের মতো নেতাদের বক্তব্য, হামলায় কী হয়েছে, তা দেশবাসীর জানার অধিকার আছে। দিগি¦জয় সিংহ প্রমাণ দেওয়ার কথাও তুলেছেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, আমরা সেনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলছি না। নানা ‘স‚ত্র’ দিয়ে যে ভাবে বলা হচ্ছে, ৩৫০-৪০০ জঙ্গি মারা গিয়েছে আর তা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করে চলেছে, আমাদের আপত্তি তা নিয়েই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।