Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমরা লক্ষ্যে আঘাত করেছি, মৃতের সংখ্যা জানাতে পারবে সরকার- ধানোয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৯, ৪:৪১ পিএম

পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযানে কত জনের মৃত্যু হয়েছে— তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। চলছে রাজনৈতিক বিতর্কও। বিরোধীরা প্রমাণ চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে হামলার পাঁচ দিন পর মুখ খুলল ভারতীয় বিমান বাহিনী। তবে তাতেও স্পষ্ট হল না হতাহতের সংখ্যা। সরকারের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বীরেন্দ্র সিংহ ধনোয়ার দাবি, যে লক্ষ্য ছিল, তাতে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে বালাকোটে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে ফিরে আসে ভারতীয় বিমান বাহিনী। সেই হামলার পর থেকেই কত জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, কতগুলি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে, লক্ষ্যে আঘাত হানতে পেরেছে কি না ভারতীয় বায়ুসেনা— সে সব নিয়ে নানা জল্পনা, নানা পরিসংখ্যান, সংখ্যাতত্ত্ব সামনে আসছিল। এই পরিস্থিতিতেই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধনোয়া। বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক হলেও স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসে ২৬ ফেব্রুয়ারির হামলার প্রসঙ্গ।
হামলায় কত জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এই প্রশ্নে ধানোয়ার জবাব, ‘আমরা মৃতদেহ গুণে দেখি না। শুধু দেখা হয়, নির্দিষ্ট করে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রায় নিখুঁত হামলা করা সম্ভব হয়েছে কি না। সেই দিক থেকে এই অভিযান সফল। আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে পেরেছি। তবে কত জনের মৃত্যু হয়েছে বা কত জন আহত হয়েছে, সে বিষয়ে সরকার তথ্য দিতে পারবে।’ অর্থাৎ সংখ্যাটা স্পষ্ট হল না ভারতের বিমানবাহিনীর বক্তব্যেও।
বিমানবাহিনী মহলে ‘উড়ন্ত কফিন’ বলেই পরিচিত মিগ যুদ্ধবিমানগুলি। এই বছরই মিগ-২১ যুদ্ধবিমানগুলি বাতিল করে দিচ্ছে বিমানবাহিনী। অথচ ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তার মোকাবিলায় সেই মিগ-২১ যুদ্ধবিমান নিয়েই প্রতিরোধে নেমেছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। এ নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। এ দিন এই প্রশ্নের জবাবে বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, ‘অভিনন্দন বর্তমান যে যুদ্ধবিমান নিয়ে ‘ডগ ফাইট’-এ নেমেছিলেন সেটি থার্ড জেনারেশন মিগ-২১। অনেক উন্নত প্রযুক্তির।’ এর মধ্যে নানা উন্নত প্রযুক্তির সংযুক্তিকরণ হয়েছে বলে জানালেন তিনি। এই যুদ্ধবিমানের উন্নত রাডার, এয়ার টু এয়ার মিসাইল এবং আরও উন্নত অস্ত্রের ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ধাওয়া করতে গিয়েই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে ধরা পড়েছিলেন অভিনন্দন। তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে পাক সরকার। তার পর থেকেই তিনি দিল্লির আর আর হাসপাতালে ভর্তি। তার চিকিৎসা এবং শারীরিক পরীক্ষা চলছে। কবে ফের ককপিটে বসতে পারবেন অভিনন্দন, এই প্রশ্নের উত্তরে বিমান বাহিনী কর্তা বলেন, ‘সেটা উইং কমান্ডারের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করছে। চিকিৎসকরা ‘ফিট’ ঘোষণা করলেই অভিনন্দন ফের বিমান বাহিনীর কাজে যোগ দেবেন।’
বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান ও প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণের বিষয়ে ধানোয়া বলেন, ‘এটি একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া। সব সময়ই উন্নততর প্রযুক্তি গ্রহণ করা হয়।’ যে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছে, সেগুলি সেপ্টেম্বরেই বিমানবাহিনী হাতে পাবে বলেও জানান ধানোয়া।

 

এর পাশাপাশি মিগ-২১ এর স্বপক্ষেও কথা বলেন চিফ এয়ার মার্শাল। মিগ-২১ বাইসন যথেষ্ট ক্ষমতাশালী যুদ্ধবিমান বলে দাবি করেছেন তিনি। সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাফাল বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল।

 

 



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৪ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৯ পিএম says : 0
    সন্ত্রাসী কায্যকলাপ ভারতকে বন্ধ করিতে হইবে কাশ্মীর হইতে ভারত হটতে হইবে। যে জুলুম কাশ্মীরের জনগণের উপর ভারত করিতেছে আমাদের বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের যে অবস্থা হইয়াছিলো ১৯৭১ সালে একই অবস্থা ভারতের হইবে কাশ্মীরের সাথে। ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Osman goni ৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:১৪ এএম says : 0
    Bharotiora ato bakup je oder sena,biman bahinir mittha propaganda akhono ora bujte parlona
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ