মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যে মিগ নিয়ে কদিন আগেই গর্বের সুর শোনা গিয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকে, পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তার দুটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরই এখন শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। যুদ্ধ পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়ছে মিগ ২১।
কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জেরে পাকিস্তানে গিয়ে হামলা চালাতে গিয়েছিল মিগ ২১। এই বিমানটি নিয়ে ভারতের অনেক গর্ব ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের হামলায় দুটি মিগ ২১ বিধ্বস্ত হয়। গ্রেফতার হয় একজন পাইলট।
কিছুটা আগের আমলের নকশায় নির্মিত হলেও মিগ ২১ ছিল হামলার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। টার্গেটে হামলা চালিয়ে ধরা না পরে ফিরে আসার মতো গতি ও যোগ্যতা রয়েছে এ বিমানটির। ফলে ভারতের কাছে খুবই প্রিয় ছিল এ মিগ ২১। ফলে যে কোনো যুদ্ধ পরিকল্পনায় অন্যান্য মডেলের পাশাপাশি থাকত মিগ ২১-ও।
কিন্তু এখন হিসেব পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে ভারত। পাকিস্তানে দুটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুদ্ধবিমানটির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন ছিল আগে থেকেই। কিন্তু এখন সেটি উঠেছে আরো জোরেশোরেই। যুদ্ধের মহড়া নয়, আসল যুদ্ধে কি শত্রুকে ঘায়েল করার মতো সক্ষমতা আছে ১৯৫০-এর দশকে নির্মিত এ বিমানটির? যদি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ লেগেই যায়, তাহলে পাকিস্তানের এফ-১৬-এর মোকাবেলায় কতটুকু কার্যকর হবে এই মিগ?
এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, মিগ ২১ সরে গিয়ে এসব হামলায় জায়গা করে নিচ্ছে তেজস বিমান। লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট তেজস ভারতে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) এটি তৈরি করেছে। ভারতের দাবি, শব্দের থেকে দ্রুতগামী এবং নিজস্ব মানের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে পৃথিবীর সব থেকে হালকা যুদ্ধবিমান তেজস। এটি ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো দ্বিতীয় যুদ্ধবিমান। এটি মাল্টি-রোল, সুপারসনিক এক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট ফাইটার জেট।
এই বিমানের ডিজাইন, গবেষণা এবং নির্মাণ পুরোটাই ভারতে হয়েছে। ছোট এবং হাল্কা হওয়ার ফলে একদিকে যেমন একে শত্রুরা সহজে টার্গেট করতে পারবে না, অন্যদিকে, আকাশে একে ধাওয়া করাও বেশ কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের বিমানবাহিনীর হাতে কিছুদিন আগে তুলে দেয়া হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো এ যুদ্ধবিমান।
তবে ভারতের বিমানবাহিনীসহ পুরো সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ অবস্থা খুবই করুণ। কারণ বাহিনীগুলোতে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের অধিকাংশই এত পুরোনো মডেলের যে, এ যুগে সেগুলো দিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করা কঠিন। এ অবস্থায় ভারতের বিভিন্ন বাহিনীতে থাকা মিগ ২১-এর সংখ্যা প্রায় একশ। এ মুহূর্তে এগুলো বাতিল করা হলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে তা পূরণ করাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সে কারণে ভারত চেষ্টা করছে এই মিগ ২১গুলোকে তেজসে রূপান্তর করার।
মূলত মিগ ২১ ছিল গ্রাউন্ড অ্যাটাক ফাইটার মিগ ১৯ এর উত্তরসূরি। ১৯৪৮-৪৯ সালে সোভিয়েতরা মিগ-১৭, মিগ-১৯ এবং সুখোই-৭ এর সমন্বয়ে একটা সুপারসনিক ফাইটার বিমান তৈরির ডিজাইন সম্পন্ন করে। মিগ-২১ এর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পরে সোভিয়েতরা বুঝতে পারে যে ফাইটার অনুপাতে ইঞ্জিনের ক্ষমতা কম তখন এই ঝামেলা সারিয়ে তৈরি করা হয় আরেকটি প্রটোটাইপ। এটিও ডানার ঝামেলার কারণে বিফল হয়।
অবশেষে ১৬ জুন ১৯৫৫ সালে সর্বশেষ প্রটোটাইপ চূড়ান্তভাবে বানানোর অনুমতি পায়। এই ফাইটার বিমানটি সার্ভিসে আসে ১৯৫৯ সালে। পরে সোভিয়েত রাশিয়ার বিমান বাহিনীবহরে মিগ ২১ যুক্ত করা হয়। ১৯৫৯ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে কিছুই জানতো না। তবে ভিয়েতনাম যুদ্ধে তারা এটা সম্পর্কে জানতে পারে। বর্তমান বাজারে এ মিগের মূল্য আড়াই কোটি ডলার বা ২১০ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।