Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে মোদি, ৩ রাজ্যের ৮ বিমানবন্দর বন্ধ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:৫৫ পিএম | আপডেট : ৯:৪১ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রত্যাঘাতের পরদিন ভারত-পাক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিমানের হানা এবং পাল্টা হানার লড়াইয়ের ফাঁকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবের সমস্ত বিমানবন্দর পুরোপুরি বন্ধ করে দিল ভারত। পাশাপাশি ভারত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের হেডকোয়ার্টারে চলছে চরম ব্যস্ততা। সেখানেই একের পর এক বৈঠক করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
সাতসকালেই ভারতের কাছে খবর আসে আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাক যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ছে ভারতের আকাশে। সেই খবর পাওয়া মাত্র বিজ্ঞান ভবনে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীনই বেরিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একটি প্রশ্নোত্তর চলছিল তখন। তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে একটি চিরকুট আসা মাত্রই হাত নেড়ে বেরিয়ে যান মোদী। এর পরই নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি জরুরি বৈঠকের ডাক দেন মোদী। বিজ্ঞান ভবনের অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোরও। এর আগে নিজের বাড়িতেও একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশ সচিব বিজয় গোখেল, বিমানবাহিনী প্রধান-সহ দেশের অন্যান্য বাহিনীর প্রধানরাও।
প্রতিরক্ষায় যে নয়াদিল্লি কোনও খামতি রাখতে রাজি নয়, তার প্রমাণ মেলে এর পরই। বিমান হামলার খবর পাওয়া মাত্র জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবের সমস্ত বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি। এর মধ্যে আছে শ্রীনগর, লে এবং জম্মু, চন্ডীগড় এবং অমৃতসর বিমানবন্দর। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও এই এলাকার বিমানবন্দরে না নামিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় দেশের অন্যান্য নিরাপদ বিমানবন্দর দিয়ে। একের পর এক বেসরকারি বিমানসংস্থাও বিমান বাতিলের খবর জানিয়ে দেয় যাত্রীদের। জানা গিয়েছে শ্রীনগর, লে এবং জম্মু, চন্ডীগড় এবং অমৃতসর বিমানবন্দর আপাতত তিন মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অন্য দিকে লাহোর, মূলতান, ফয়জলাবাজ, শিয়ালকোট এবং ইসলামাবাদ বিমানবন্দরেও সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে পাকিস্তানও।
একই সঙ্গে সকালেই নর্থ ব্লকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব সব প্রতিরক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিরা। এই বৈঠকেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে ভারত-পাক সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এরই মধ্যে চিনে উড়ে গিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুলওয়ামা হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ