মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার জবাবে পাক অধিকৃত কাশ্মিরে প্রবেশ করে হামলা করল ভারত। মঙ্গলবার ভোররাতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মির এবং বালাকোটে বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় যুদ্ধবিমান।
ভারতের গণমাধ্যম জানায়, রাতারাতি এই অভিযান চালানো হয়নি বরং প্রস্তুতি চলেছে গত ১১ দিন ধরে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মোহম্মদ। তাতে মৃত্যু হয় ৪৪ জওয়ানের। প্রাথমিকভাবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পরই পাকিস্তানকে ‘সমুচিত জবাব’ দেয়ার কাজ শুরু হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি: এর আগে ২০১৬-য় নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মিরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। তবে এ বার পরিকল্পনা ছিল আকাশপথে বোমাবর্ষণের। সেই মতো প্রেজেন্টেশন দেন ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান বিরেন্দার সিং ধানোয়া। ওই দিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে তাতে অনুমোদন মেলে।
১৬-২০ ফেব্রুয়ারি: নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নজরদারি চালাতে নামানো হয় হেরন ড্রোন। তার মাধ্যমে টানা পাঁচদিন ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় জঙ্গিদের গতিবিধি এবং কার্যকলাপের উপর নজর রাখা হয়।
২০-২২ ফেব্রুয়ারি: ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির পর কোন কোন জায়গাগুলিকে নিশানা করা যায়, যৌথভাবে সেগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে বায়ুসেনা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
২১ ফেব্রুয়ারি: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন বায়ুসেনা আধিকারিক ও গোয়েন্দারা। কোন পথে কোথায় অভিযান চালানো হবে, ডোভালের সামনে সবিস্তার তথ্য তুলে ধরা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি: জরুরি পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ এবং স্ট্রাইক চালাতে বায়ুসেনার ১ নম্বর স্কোয়াড্রন ‘টাইগারস’ এবং ৭ নম্বর স্কোয়াড্রন ‘ব্যাটল অ্যাক্সেস’র সাহায্য নেয়া হয়। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে বিমান বাহিনীর ওই ঘাঁটিতে খবর দেয়া হয়। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অভিযান চালাতে প্রস্তুত রাখতে বলা হয় ১২টি ‘মিরাজ-২০০০’ যুদ্ধবিমান।
২৪ ফেব্রুয়ারি: সবকিছু ঠিক আছে কিনা দেখতে ভারতের আকাশেই মহড়া দেয়া হয়। মাঝআকাশে যদি বিপত্তি দেখা দেয়, সে জন্য আগ্রা থেকে বিশেষ জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান উড়িয়ে আনা হয়।
২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি: ভোর সাড়ে ৩টা নাগাদ অভিযান শুরু হয়। গোয়ালিয়র থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা অভিমুখে রওনা দেয় লেজার নিয়ন্ত্রিত বোমা বোঝাই ১২টি ‘মিরাজ ২০০০’ যুদ্ধবিমান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভাটিন্ডা থেকে একটি বিমান রওনা দেয়। আগরা থেকে রওনা দেয় মাঝআকাশে জ্বালানি সরবরাহকারী বিশেষ বিমান। গোপন জায়গা থেকে নজরদারি চালাতে পাঠানো হয় হেরন ড্রোন।
নিশানায় আঘাত হানতে কোনও বাধা নেই, কম্যান্ড সেন্টার থেকে এই বার্তা পেয়ে বোমা বর্ষণ করতে শুরু করেন মিরাজ যুদ্ধবিমানের পাইলটরা। অভিযান সম্পন্ন হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খবর দেন অজিত ডোভাল। তার পর সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।