যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
আধুনিক জীবন ফ্রিজ ছাড়া এখন অনেকটাই অচল। দীর্ঘদিন খাবার ভাল রাখতে সবাই ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করেন। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাকসবজিসহ আরও অনেক খাবার ফ্রিজে দীর্ঘসময় সংরক্ষণ করা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ,কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো ফ্রিজে রাখা মোটেও ঠিক নয়। যেমন-
১. আলু কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এটি সবসময় ঠাণ্ডা ও কিছুটা অন্ধকারচ্ছন্ন পরিবেশে রাখা উচিত। ফ্রিজে রাখলে আলুর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
২. পেয়াজ ফ্রিজে রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তবে এটা ছুলে এবং কেটে রাখলে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়।
৩. রসুন ফ্রিজে রাখলে এর গন্ধ চলে যায়।রসুনের স্বাদ বজায় রাখতে সেটা ঠাণ্ডা ও শুকনো স্থানে রাখুন।
৪. তরমুজ, বাঙ্গি, মধু ঘরে রাখলে স্বাদ ও গুণ ঠিক থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্রিজে রাখলে এসব খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তবে কাটার পর তরমুজ, বাঙ্গি তিন থেকে চারদিন ফ্রিজে রাখা যায়।
৫. বাদাম ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। বাদাম ফ্রিজে রেখে খেলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। আর যদি একান্তই রাখতে হয় তাহলে ফ্রিজ থেকে বের করে একটি প্যানে বাদামগুলো গরম করে খাওয়া উচিত।
৬. আপেল ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। বাইরে রাখলেই আপেল সজীব ও সুস্বাদু থাকে।
৭. জাম, ব্লুবেরী, স্ট্রবেরী-এই ফলগুলো ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। কারণ ফ্রিজে রাখলে এগুলোতে দ্রুত ছাতা ধরে যায়।
৮. টমেটো দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। টমেটো যদি কাঁচা হয় তাহলে তা বাইরে রাখা ভাল। আর যদি বেশি পাকা হয় তাহলে সেগুলো ফ্রিজে না রেখে রান্না করলেই ভাল হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।