মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রথমবারের মতো দূত হিসেবে নারী নিয়োগের মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল সউদী আরব। তবে এই নারী আর কেউ নন। বরং তিনি হচ্ছেন সউদী রাজ পরিবারের সদস্য রাজকুমারী রিমা বিনতে বানদার আল সউদ। তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সউদী আরবের দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির সরকার। শনিবার রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে জারি করা এক ডিক্রির বরাতে করা প্রতিবেদনে রাজকুমারীকে যুক্তরাষ্ট্রে সউদী দূত হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এতদিন দেশটিতে দূতের দায়িত্ব পালন করছিলেন তারই ছোট ভাই প্রিন্স খালিদ বিন সালমান। এবার সেই ভাইয়ের কাছ থেকেই দায়িত্বভার বুঝে নিতে যাচ্ছেন সদ্য নিযুক্ত দূত রিমা। প্রিন্স খালিদকে রিয়াদের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সউদীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দূতের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বাবা বানদার বিন সুলতান আল সউদের দেখানো পদ অনুসরণ করলেন রিমা। এর আগে ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বানদার বিন সুলতান আল সউদ।
উল্লেখ্য, বাবার কাজের সুবাদেই শৈশব কালের বেশিরভাগ সময়টা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে কাটিয়েছেন এই রাজকুমারী। তিনি সেখানে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে সউদীর এই রাজকুমারী রিয়াদে ফিরে আসেন। তাছাড়া নানা সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজের ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে তার।
প্রিন্সেস রিমাকে দেখা হয় নারী অধিকারের একজন অগ্রণী হিসেবে। সম্প্রতি তিনি সউদী আরবের জেনারেল স্পোর্টস অথরিটিতে কাজ করেছেন। এ সময়ে খেলাধুলা ও শরীরচর্চায় অধিক হারে নারীর অংশগ্রহণের দিকে ছিল তার দৃষ্টি। বিশেষ করে তিনি মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সার বিষয়ে পরামর্শমুলক কাজ করেছেন। এ জন্য তিনি বেশ পরিচিতি পেয়েছেন।
বিবিসি লিখেছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন একটি কঠিন সময়ে, যখন সউদী আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার ঘটনায় দেশটি আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মুখে রয়েছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সউদী আরবের কনসুলেটে কি ঘটেছিল সে বিষয়ে পরস্পরবিরোধী ব্যাখ্যা দেয়ার পর সউদী আরব অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছে যে, জামাল খাসোগিকে তাদের কনসুলেটে প্রবেশের পর হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আগে সাংবাদিক খাসোগি ওয়াশিংটন পোস্টের একজন কলামনিস্ট ছিলেন। তিনি সউদী আরব সরকারের ঘোর সমালোচক ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।