মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বোন প্রিয়াংকা গান্ধীকে রাজনীতিতে এনে রাহুল-রাজনীতির প্রথম চমক দেখিয়েছিল কংগ্রেস। এবার প্রিয়াংকাপুত্রকে নিয়েও কি আরেক চমকের কথা ভাবছে কংগ্রেস?
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের এক নির্বাচনী প্রচারণায় ভাগ্নে রেহান ভদ্রকে (১৯) মামা রাহুলের পাশে দেখার পর থেকেই নতুন এ অঙ্কের যোগ হয়েছে দেশটির রাজনীতিতে।
শনিবার ভারতের গণমাধ্যমগুলোও বেশ মেতে ওঠে এই খবরে। স্থানীয় দৈনিকগুলো থেকে জানা যায়, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রচারণায় রাহুলের তিরুপতি মন্দির যাত্রাপথে সর্বক্ষণ মামার পাশে ছিলেন রেহান।
পরনে সাদা পায়জামা আর ফুলহাতা কুর্তা পরিহিত এক টগবগে তরুণ। তারপর থেকেই ডালপালা গজায় এ নতুন জল্পনা-কল্পনা। অন্ধ্রপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের প্রিয়াংকাপুত্রকে নিয়ে উৎসাহও কম ছিল না।
মামার সঙ্গে তিরুপতি যাত্রায় ইতিমধ্যেই তাকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, দেশের মানুষের সঙ্গে প্রিয়াংকার ছেলে রেহানকে পরিচয় করানোর প্রক্রিয়া কি তাহলে শুরু হয়ে গেল?
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সম্প্রতি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী বিয়ে করেননি বলেই প্রিয়াংকা গান্ধীকে রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হয়েছে।’ কংগ্রেসের রাজনীতিতে যে পরিবারতান্ত্রিক পরম্পরা চলে আসছে তার দিকেই ইঙ্গিত করেন তিনি। আর এ পরম্পরা রক্ষা করতে গেলে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের রাজনীতিতে প্রিয়াংকার সন্তানদের আনতে হবে এটাই স্বাভাবিক।
কংগ্রেস নেতাদের একাংশও অবশ্য বলছে, রেহানকে নিয়ে রাহুলের তিরুপতি মন্দিরে যাওয়ার পেছনে একবারেই যে কোনো রাজনীতি নেই তা বলা যায় না। তাদের যুক্তি, রেহান ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক আবহে বড় হয়েছে। রাজনীতি সম্পর্কে ছোট থেকেই তার আগ্রহ।
বছরচারেক আগে তাকে সংসদে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্যালারিতে বসে সভার কাজকর্মও দেখেছিল সে। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, রেহান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। প্রিয়াংকা সব সময়ই চান তার সন্তানেরা ভারতকে কাছ থেকে দেখুক এবং জানুক।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আমেথির এক গ্রামে বেশ কয়েকদিন কাটায় রেহান। গ্রামবাসীর তৈরি রুটি আর সবজি খাওয়ার সঙ্গে উঠোনে থাকা বিছানায় মশারি টাঙিয়ে রাত কাটিয়েছিল প্রিয়াংকাপুত্র। গ্রামে যার বাড়িতে ছিল তিনিও জানতেন না রেহান রাহুলের ভাগ্নে আর প্রিয়াংকার ছেলে। কংগ্রেস নেতাকর্মীর সূত্রে আরও জানা যায়, প্রিয়াংকা রাজনীতির ধারে-কাছে আসতে দেন না সন্তানদের।
আরেক কংগ্রেস নেতার মন্তব্য, ‘কে বলতে পারে ভবিষ্যতের জন্য রেহানকে তৈরি করা হচ্ছে না?’ আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগে সিমলায় প্রিয়াংকার বাড়ি যান রাহুল। সেখানে ভাগ্নের সঙ্গে দাবা খেলেন তিনি। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রিয়ংকা।
সেই ছবি টুইটারে পোস্ট করা হয়। কংগ্রেস নেতার মতে, দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ্নেকে পরিচয় করানোর কাজ ‘সুকৌশলে’ করে চলেছেন মামা রাহুল গান্ধী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।