গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চকবাজারে চুড়িহাট্টা মোড়ে আগুনে প্রাণ হারানো মানুষদের জন্য দোয়ার আয়োজন রূপ নিল কান্নায়। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশেষ মোনাজাতে শত শত মানুষের কান্নার রোলে পুরো এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। মোনাজাত শেষেও অনেককে হু হু করে কাঁদতে দেখা যায়। বুধবার রাতে লাগা এই আগুন কেড়ে নিয়েছে সরকারি হিসেবে ৬৭ জনের প্রাণ। আর এদের রুহের মাগফেরাতের জন্য শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয় মসজিদে মসজিদে।
চকবাজারের যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার পাশেই চুড়িহাট্টা জামে মসজিদ। প্রতি শুক্রবারই জুমার নামাজে সেখানে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নামাজ পড়তে আসেন। গতকালও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
মুসল্লিদের ভিড়ে সবার জায়গা হয়নি মসজিদে। এতে করে পাশের সড়কে বসেও তারা নামাজ পড়েন। পরে অংশ নেন মোনাজাতে।
যখন নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া হচ্ছিল, তখন কান্নার রোল পড়ে যায়। ডুকরে কাঁদতে থাকেন শত শত মানুষ। নিহতদের বহুজনকে এরা হয়ত কখনো দেখেননি, চেনেনও না কিন্তু এমন করুণ মৃত্যু সবাইকে নিকটজন বানিয়ে দিয়েছে। অচেনা মানুষদের জন্য হৃদয় ভেঙে গেছে তাদের।
মসজিদ থেকে প্রতিটি মুসল্লিকে বের হওয়ার সময় চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে। অনেকেরই বুক থেকে পেট পর্যন্ত পাঞ্জাবী ছিল ভেজা। একজন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আল্লাহ এক কঠিন অগ্নিপরীক্ষায় ফেলেছে এই এলাকার মানুষজনকে। এ থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে।
হামিদুর রহমান নামে একজন বলেন, শুধু এই মসজিদ নয়, গোটা বাংলাদেশ এ মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া হয়েছে। আরেক মুসল্লি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এ মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকার মানুষ একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছে। চলছে শোকের মাতম। কিছুদিন আগে যার সাথে একসাথে চলাফেরা করত আজকে তার লাশটা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না তাই প্রতিবেশীরা এ ঘটনায় খুবই ভারাক্রান্ত।
মোনাজাতে মসজিদের ইমাম নিহতদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।