বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ১১ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গ থেকে এসব লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্রে জানা গেছে, ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১১ জনের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ১১ জনের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও দুজন নারী।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ঢাকা) শফিকুল ইসলাম জানান, নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৮টি লাশ হস্তান্তর করা হয়। বাকীগুলো স্বজনরা নিতে এলে সঙ্গে সঙ্গে বুঝিয়ে দেয়া হবে। দাফন-কাফনের জন্য স্বজনদের ১০ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে। শনাক্ত হওয়া একজন হলেন শাহীন আহমেদ (৪৫)। তিনি পরিবার নিয়ে চুড়িহাট্টা এলাকায় থাকতেন। তার স্ত্রী ময়না আক্তার জানান, তার স্বামী মসজিদে নামাজে আদায়ের জন্য বাসা থেকে বের হন। পরে তিনি আগুনে পুড়ে মারা যান। ছেলে ও মেয়ে ডিএনের নামুনা নিয়ে পরীক্ষার পর তার স্বামীর লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
নিহত রিকশাচালক নুরুজ্জামান (৪২) থাকতেন ফতুল্লার দেলপাড়ায়। তার স্ত্রী শিরিন আক্তার জানান, ঘটনার দিন রিকশা নিয়ে চুড়িহাট্টায় জ্যামে পড়েছিলেন তার স্বামী। সেখানে লাগা আগুনে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। পরে তার ছেলের ডিএনের নমুনা পরীক্ষার পর তার স্বামীর লাশ শনাক্ত হয়। নিহত ফাতেমা-তুজ-জোহরা বৃষ্টি (২১) ডিএনএ’র মাধ্যমে লাশ শনাক্ত করেন তার পরিবার। তিনি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার মা শামসুন্নাহার জানান, ঘটনার সময় একটি অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি শেষ করে রিকশাযোগে তার বান্ধবীকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ওই সে আগুনে পুড়ে মারা যায়।
চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করে সিআইডি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের ৬৭টি লাশ থেকে ২৫৬টি (রক্ত, টিস্যু, হাড় ও বাক্কাল সোয়াব) ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি বিচ্ছিন্ন পৃথক হাতকে পৃথক আলামত হিসেবে গণ্য করে সেটি থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতের চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জন পুড়ে মারা যায়। পরে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১ জনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।