Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেসবুকে প্রেম বিয়ে অতঃপর স্বামীকে গলা কেটে হত্যা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ফেসবুকে পরিচয়- প্রেম এরপর বিয়ে। পরে জানা গেল স্বামীর আরও একটি বউ আছে। আছে দুই সন্তানও। অতঃপর কৌশলে ডেকে এনে গলাকেটে হত্যা করলেন স্ত্রী। স্বামী মো. শামীমের লাশ উদ্ধারের ৫ দিনের মাথায় গতকাল বুধবার বগুড়া থেকে ধরে আনা হয় স্ত্রী আশা আক্তারকে।
দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কুসুম দেওয়ান জানান, আশা তার স্বামীকে খুনের দায় স্বীকার করেছেন। এক বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে চার মাস আগে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর আশা আক্তার জানতে পারেন, শামীম তার সাথে প্রতারণা করেছে। সেই ক্ষোভ থেকে শামীমকে খুনের পরিকল্পনা করে আশা আক্তার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে বাসা নিয়ে স্বামীর সাথে থাকতে চান আশা আক্তার। এতে খুশি হয়ে পাহাড়তলী থানাধীন আবদুল আলী নগরে একটি বাসা ভাড়া করেন স্বামী। ১৬ ফেব্রæয়ারি প্রথমবারের মতো শামীমের সাথে চট্টগ্রাম আসেন আশা। ওই বাসায় উঠার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বামীকে জুসের সাথে নেশা খাইয়ে অচেতন করেন। এরপর ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বাসায় ফেলে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যান বগুড়া।
অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। থানার এসআই অর্ণব বড়ুয়া মামলার তদন্ত শুরু করেন। বাড়িওয়ালার মোবাইলে দেয়া কলের সূত্র ধরে শামীমের মোবাইল নাম্বার পায় পুলিশ। এরপর আশাকে গ্রেফতার করা হয়। আশা আক্তার বগুড়া জেলার সদর উপজেলার ঠনঠনিয়া পাড়ার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং মো. শামীম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্যামন্তগড় এলাকার আবু কালামের ছেলে।
পেশায় বাবুর্চি শামীম প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে খুলশী থানার ডেবারপাড় এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বিয়ের পর শামীমকে বগুড়ায় থাকতে চাপ দেন আশা। সেখানেই এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি অটোরিকশাও কিনে দেন তিনি। কিন্তু আগের সংসারের টানে বগুড়া থেকে চট্টগ্রাম চলে আসেন শামীম। আর এতে ক্ষেপে যান আশা আক্তার।
কুসুম দেওয়ান বলেন, শামীমকে একাই খুন করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে আশা আক্তার। বগুড়ায় তার ভাড়া বাসা থেকে হত্যাকাÐে ব্যবহার করা ছুরি ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের ফারুক উল হক, এডিসি কামরুল ইসলাম, এসি পংকজ বড়ুয়া, পাহাড়তলী থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ