নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নাটকীয় ড্র পেল পুরান ঢাকার দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে শুরুতে দু’গোল হজম করলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা প্রথমে দুই গোলে এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ২-২ ব্যবধানে ড্র করে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। মুক্তির পক্ষে আইভরি কোস্টের ফরোয়ার্ড বালো ফামুসা একাই দু’গোল করেন। রহমতগঞ্জের হয়ে দু’গোল শোধ দেন কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিও এবং বদলি ফরোয়ার্ড চৌমরিন রাখাইন। এই ড্র’তে ছয় ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার অষ্টমস্থানেই রইলো মুক্তিযোদ্ধা। সাত ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়া রহমতগঞ্জ উঠে আসলো নবমস্থানে।
ম্যাচের ৫১ মিনিট পর্যন্ত রাজত্ব করেছে মুক্তিযোদ্ধা। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের সুঘ্রাণও পাচ্ছিল তারা। কিন্তু তাদের জাপানী মিডফিল্ডার ইউসুকু কাতোর ভুলে সব উলট-পালট হয়ে গেল। ম্যাচের নায়ক হতে পারতেন ইউসুকু কাতো। কারণ মুক্তির এগিয়ে থাকা দু’টো গোলেই ছিল তার অবদান। কাতোর বাড়িয়ে দেয়া বলে আইভরিকোস্টের ফরোয়ার্ড বাল্লো ফেমাসো দু’টি গোল করেন। ম্যাচ জিতলে হয়তো নায়ক হতে পারতেন কাতো। কিন্তু হাতাহাতিতে জড়িয়ে তাকেই লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হলো। আর পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো মুক্তিযোদ্ধা। তাই মূহুর্তেই নায়ক থেকে খলনায়কে পরিণত হলেন এই জাপানীজ ফুটবলার। এদিকে লিগে সাত গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে উঠে এলেন বালো ফেমাসো। পাঁচ গোল নিয়ে তার পরের অবস্থানে আছেন ঢাকা আবাহনীর ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন।
মঙ্গলবার ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছে মুক্তিযোদ্ধা। তবে দুর্ভাগ্যকে সঙ্গী করেই যেন মাঠে নেমেছিল তারা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন বালো ফেমাসো। তবে সেই হাপিত্যেস তিনি পুষিয়ে দেন পরে দু’গোল করে। ১৪ মিনিটে প্রথম গোল পায় মুকিযোদ্ধা। এসময় ইউসুকে কাতোর বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে থ্রু পাস দেন সৈয়দ রাকিব খান। বল পেয়ে রহমতগঞ্জের বক্সে ঢুকে জটলার মধ্য থেকে ডান পায়ের জোড়ালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফেমাসো (১-০)। মিনিট ছয়েক পরেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন আইভরি কোস্টের এই ফরোয়ার্ড। ২০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে কাতো উচু করে বল পাঠান বালো ফেমাসোর উদ্দেশ্যে। বল বুঝে নিয়ে এবারো আগের মতোই জোড়ালো শটে রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক আরিফুল ইসলামকে পরাস্ত করেন বালো (২-০)। গোল পাবার কিছুক্ষণ পরই অঘটনের শিকার হয় মুক্তিযোদ্ধা। যেই ইউসুকু কাতো দলের দু’গোলে অবদান রেখেছিলেন, তিনিই অফ দ্যা বলে রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার রকিবুল ইসলামের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তখন ম্যাচ চলছিলো মাঠের অন্য প্রান্তে। তাই বিষয়টি দৃষ্টি এড়িয়ে যায় রেফারি সুজিত ব্যানার্জির। পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে আলোচনা করে তিনি রকিবুলকে হলুদ কার্ড এবং কাতোকে লাল কার্ড দেখান। ফলে দশ জনের দলে পরিণত হয় মুক্তিযোদ্ধা। এই সুযোগটিই কাজে লাগায় পুরনো ঢাকার ক্লাব। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল আদায় করার পণ করেই যেনো মাঠে নামে রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ৫২ মিনিটে মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদের কর্ণার পাঞ্চ করে বল সরিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক আরিফ। বক্সের মাথায় বল পেয়ে যান ফরোয়ার্ড সোহেল রানা। দারুণ শটে গোল করে ব্যবধান কমান তিনি (১-২)। এর ঠিক মিনিট দুয়েক পরই সমতায় ফেরে রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে সোহেল রানার শট বাঁ পোস্টে লেগে ফেরত আসলে শুয়ে পড়ে হেড নেন চৌমরিন রাখাইন। ওই মুহুর্তে মুক্তি ডিফেন্ডার রিমন গোল লাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করলেও বল তার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায় (২-২)। তবে রেফারি সুজিত ব্যানার্জী গোলটি চুমরিনকেই দেন। ফলে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।