নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ সংস্করণে উড়তে থাকা নবাগত বসুন্ধরা কিংসকে অবশেষে থামালো অপেক্ষাকৃত দূর্বল টিম বিজেএমসি। লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পাওয়া বসুন্ধরা প্রথম পয়েন্ট খোয়ালো বিজেএমসির বিপক্ষে। মঙ্গলবার নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা-বিজেএমসি ম্যাচটি গোলশূন্য অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়। এই ড্র’তে ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্র’যে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে রইলো নবাগতরা। সাত ম্যাচে তিন ড্র ও চার হারে ৩ পয়েন্ট পাওয়া বিজেএমসির জায়গা হলো দশমস্থানে।
নতুন মৌসুমে এসেই অনেকটা হইচই ফেলে দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। অভিষেক আসর ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ হলেও মৌসুমের দ্বিতীয় টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের সোনালী ট্রফি ঘরে তুলে তারা। এতে সবাই ধরে নেন দেশের ফুটবলে নতুন শক্তি রূপে আতœপ্রকাশ ঘটেছে বসুন্ধরার। ফলে বিপিএলে তাদের কাছে প্রত্যাশা বেড়ে যায় সমর্থকদের। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মেলবন্ধন ঠিকই ঘটাতে শুরু করেছিল দলটি। ঘরোয়া সর্বোচ্চ আসরের প্রথম ম্যাচে বর্তমান রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ১-০ গোলে হারানোর পর চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে তারা বিধ্বস্ত করে ৩-০ ব্যবধানে। তৃতীয় ম্যাচে আরেক নবাগত নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০, চতুর্থ ম্যাচে মুক্তিযেদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ৩-১ এবং পঞ্চম ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়ের ধারায় ছিল বসুন্ধরা। কিন্তু ষষ্ঠ ম্যাচে এসেই হোঁচট খেলো তারা।
মঙ্গলবার ম্যাচের শুরু থেকেই কেমন যেন গা-ছাড়া ভাবে খেলেন বসুন্ধরার ফরোয়ার্ডরা। ফলে গোলশূন্য প্রথমার্ধে বিজেএমসির গোলরক্ষককে তেমন কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে গিয়ে খেই হারাতে দেখা গেছে বসুন্ধরার তারকা ফরোয়ার্ডদের। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করে লিগের নবাগত দলটি। এসময় সতীর্থের বাড়ানো বলে বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস দি সিলভার হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান বিজেএমসি গোলরক্ষক সোহাগ হোসেন। ৭৭ মিনিটে বিজেএমসির নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড স্যামসন ইলিয়াসুকে ফাউল করলে বসুন্ধরার ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধূরী লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি জালালউদ্দিন। ফলে বাকি সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় বসুন্ধরাকে।
পরের মিনিটে ফরোয়ার্ড মতিন মিয়াকে তুলে নিয়ে তৌহিদুল আলম সবুজকে মাঠে নামান বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন। কিন্তু এই ফরোয়ার্ডও ম্যাচের বাকি সময়ে দলকে এনে দিতে পারেননি কাঙ্খিত গোল। ফলে শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত গোলশূণ্য অমিমাংসিতভাবেই শেষ হয় খেলা।
অবশ্য নোয়াখালীর শহীদ বুলু স্টেডিয়াম নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই সফরকারী দলগুলোর। নতুন এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে খেলেছে শেখ জামাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দলগুলোর এই স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়ে শুরু থেকেই অনুযোগ ছিল। এবার অভিযোগ করলেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘পেশাদার লিগের খেলা হওয়ার মতো মাঠ নয় এটি। মাঠের মধ্যখানে ক্রিকেট পিচ। জায়গায় জায়গায় ঘাস নেই। বল রীতিমতো অধিক বাউন্স করে। এমন মাঠে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাও খেলতে পারেনি ছেলেরা।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাছাড়া আজকের (মঙ্গলবারের) ম্যাচে নি¤œ মানের রেফারিং হয়েছে। নাসিরের ফাউলটি হলুদকার্ড পাওয়ার যোগ্য নয়। সেখানে রেফারি জালালউদ্দিন তাকে সরাসরি লালকার্ড দেখিয়েছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।