Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজ্ঞাপনে ‘পদ্মা সেতু’ নয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম

যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প, নির্মাণাধীন পদ্মাসেতুর কোন ছবি বা ডিজাইন কোন বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যাবে না। সম্প্রতি সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেতু বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে পদ্মসেতুর ডিজাইন ব্যবহারের উপর আলোকপাত শেষে এ সিদ্ধান্ত হয়। 

দেশের বৃহত্তম এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন সিমেন্ট ও রড কোম্পানি নিজেদের পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে দাবি করে নিয়ন সাইন, ইলেক্ট্রনিক হোর্ডিংসহ বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এ ধরনের প্রচারে সাধারন ক্রেতাদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব বিবেচনা করে কোন বিজ্ঞাপনে পদ্মাসেতুর নাম বা ডিজাইন ব্যবহার করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে অবহিত করা হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিজ্ঞাপনে পদ্মাসেতুর ডিজাইন ব্যবহার করছে এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সেগুলো প্রচার করছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার পাশাপাশি এধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা এবং সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, পদ্মাসেতু অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। কাজেই এ প্রকল্পের ডিজাইন বা নাম কোন বিজ্ঞাপনে ব্যবহার অনাকাঙ্খিত। এ অবস্থায় সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম দ্রুত সময়ের মধ্যে পদ্মাসেতুর ডিজাইন পেটেন্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে সেতু বিভাগ কাজ করছে।
বৈঠকে মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করার উপর জোর দেওয়া হয়। এ সময় পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। বলা হয়, মাওয়া সংযোগ সড়ক এবং সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মূল সেতু ও নদী শাসনের কাজে ভৌত অগ্রগতি যথাক্রমে ৭৩ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ। এ ছাড়াও প্রকল্পের পরিবেশ ও পুনর্বাসনের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ। এডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৭ জুন, ২০১৯, ১২:২০ পিএম says : 0
    জাতিয় আন্তর্জাতিক ভাবে শতভাগ চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারী দক্ষিণ এশিয়ার লৌহ মানবী সকল ষড়যন্ত্রের জাল চিন্ন বিন্ন করে পদ্মাসেতু দির্শমান। পদ্মাসেতু হউক মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নামে। পদ্মাসেতুর এলাকায় কোটি কোটি মানুষের প্রতি। দেশের বিবেক মানুষের প্রতি। উদাত্ত আহবান। পরিকল্পনা কারী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের প্রতি আহবান এই সেতু নাম বিশ্ব মানবতার মা শেখ হাসিনা রাখা হউক। এই সম্মানিত নামেই দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেকারী বিরুদ্ধে জওয়াব। আর আমরা কোটি কোটি সাধারণ মানুষের প্রানের দাবী যুক্তিসংগত দাবীর প্রতি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিনীত ভাবে আহবান জানাচ্ছি প্রধান মন্ত্রীর রাজি নারাজের বিষয় নয়। এটি বাংলাদেশ তাহার বিরাট অস্বিত্বের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মান সম্মান এর বিষয় ছিল। জাতির প্রয়োজনে সম্মানিত দের সম্মানিত করা নৈতিক দায়িত্ব্য মনে করি। বঙ্গবন্ধুর বীর সন্তান স্বাধীনতা সার্ভভৌমর্তের প্রতিক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার রুপকার উন্নয়ন অগ্রগতি আশা ভরসার শেষ ঠিকানা মমতা ময়ী মায়ের নামে সেতু দাবী করা কি যুক্তিসংগত নয়? আল্লাহ আপনাদের বুঝার তৌফিক দেওয়ার প্রার্থনা করছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পদ্মা সেতু

১১ জানুয়ারি, ২০২৩
৩১ অক্টোবর, ২০২২
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৬ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ