প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্ম নেন মান্না। তার আসল নাম এস এম আসলাম তালুকদার। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পরই ১৯৮৪ সালে তিনি ‘নতুন মুখের সন্ধানে’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর থেকে একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে তার সময়ের সেরা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তবে এসব শুধুই অতীত। প্রকৃতির নিয়মেই তাকে জীবন যুদ্ধে হার মানতে হয়েছে। কারণ দীর্ঘ ১১ বছর আগেই তিনি ফিরে গেছেন ওপারে। আজ এই তারকার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে রোববার বাদ মাগরিব তার উত্তরার বাসভবন ‘কৃতাঞ্জলী’তে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
মান্নার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতেও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মান্নার প্রাণ প্রিয় সংগঠন যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিই এ অয়োজন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্তমান সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
২০০৮ সালের আজকের এই দিনেই তিনি পাড়ি জমান ওপারে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। মান্না প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
মান্না সম্পর্কে সেল ফোনে ইনকিলাবের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেছেন তার একাধিক জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রের নির্মাতা কাজী হায়াৎ। গুণী এই নির্মাতা বলেন, ‘মান্না সম্পর্কে এই দিনে কিছু বলার ভাষা নেই। শুধু দর্শক হৃদয়েই নয়, তার বিচরণ ছিলো এ অঙ্গনের প্রায় সবার হৃদয়েই। চলচ্চিত্রের মানুষদের বিপদে-আপদে কিভাবে সে হাজির হয়েছেন সেটার স্বাক্ষী আমি নিজে। দেখেছি মানুষকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। যেটা এখনকারা অনেকের মধ্যেই লক্ষনীয় নয়। মান্নাকে নিয়ে কাজ করতে কখনো কোনো ধরনের বেগ পোঁহাতে হয়নি। যে কারণেই তাকে দিয়ে অসংখ্য হিট সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিতে পেরেছি দর্শকদের। বলতে পারেন তার অবর্তমানে আমার এক হাত পড়ে গেছে। শুধু আমার একারই নয়, পুরো ইন্ডাস্ট্রিরই অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে।’
উল্লেখ্য, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চলচ্চিত্র মুখী করার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন মান্না। মান্না অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘তওবা’। কিন্তু প্রথম মুক্তি পায় ‘পাগলি’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ চলচ্চিত্রে একক নায়ক হিসেবে প্রথম সুযোগ পান তিনি। চলচ্চিত্রটির ব্যবসাযয়িক সাফল্যের পার, মান্না ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পান। তাকে নিয়ে পরিচালকেরা আগ্রহ দেখাতে শুরু করেন। কাজী হায়ৎ পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান মান্না। এরপর মোস্তফা আনোয়ারের ‘অন্ধ প্রেম’। মনতাজুর রহমান আকবরের ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, ‘বাবার আদেশ’। কাজী হায়াতের ‘দেশদ্রোহী’, ‘তেজী’ চলচ্চিত্র মান্নার অবস্থান শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৯৭ সালে মান্না ‘লুটতরাজ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় নাম লেখান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।