মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পুলওয়ামা হামলার দু’দিন আগেই শ্রীনগরে গিয়ে স্বাধীনতাকামী নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আর রোববারই জারি হল নির্দেশিকা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার জেরে পাঁচ স্বাধীনতাকামী নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। তালিকায় এখন পর্যন্ত অবশ্য পাকিস্তানপন্থী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নাম নেই। পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত জিনিসের উপর আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে ভারত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যা থেকেই পাঁচ স্বাধীনতাকামী নেতার জন্য বরাদ্দ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে। তাদের নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ গাড়িও নিয়ে নেওয়া হবে। ওই নির্দেশে আরও কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, কোনও পরিস্থিতিতেই তাদের বা অন্য কোনও স্বাধীনতাকামী নেতাকে আর কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হবে না। এই স্বাধীনতাকামী নেতাদের আর কে কে কী ধরনের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুবিধা পান, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। ফলে তালিকায় আরও অনেকেই যুক্ত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তা তুলে নেওয়া পাঁচ স্বাধীনতাকামী নেতাদের মধ্যে অন্যতম, মিরওয়াইজ উমর ফারুক। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন আবদুল গনি ভাট, বিলাল লোন, হাসিম কুরেশি এবং সাবির শাহ। কিন্তু তালিকাটা যে এখানেই শেষ নয়, তার ইঙ্গিত মিলেছে ওই নির্দেশিকাতেই। বলা হয়েছে, আরও কোনও স্বাধীনতাকামী নেতা এই ধরনের নিরাপত্তা পান কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। সেরকম কেউ থাকলে, তাদের নিরাপত্তাও সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেওয়া হবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হানায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৯। এই হামলার পরের দিনই জম্মুতে পরিদর্শনে যান রাজনাথ সিংহ। সেখানে তিনি বলেন, জম্মু কাশ্মীরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, ‘যাদের পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হবে।’
এদিকে, পুলওয়ামায় হামলার পর দিনই পাকিস্তানের ‘মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন)’ বা সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ-এর তকমা কেড়ে নিয়েছিল ভারত। এ বার সে দেশ থেকে আমদানিকৃত সব জিনিসের উপর ২০০ শতাংশ আবগারি শুল্ক চাপিয়ে দিল ভারত। ফলে বাণিজ্যিক ভাবে ইমরান খানের দেশ আরও বেকায়দায় পড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রথম ধাপটা ছিল এমএফএন-এর তকমা প্রত্যাহার এবং দ্বিতীয় ধাপটা কী হবে শনিবারেই ঘোষণা করে দিয়েছিল কেন্দ্র। ওই দিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি টুইট করে জানান, ‘পুলওয়ামার ঘটনার পর পাকিস্তানের এমএফএন তকমা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভারত। এ বার সে দেশ থেকে আমদানিকৃত জিনিসের উপর আবগারি শুল্ক বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করা হল।’ সূত্র: নিউজ নেশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।