Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেরানীগঞ্জে শিশু অপহরনের ঘটনায় থানায় মামলা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:৫৯ পিএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি শিশুকে অপহরনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শিশুটির বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে আজ শুক্রবার(১৫ফেব্রুয়ারী) রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। অপহরনের শিকার শিশুটির নাম হচ্ছে মো. ইসমাইল হোসেন। তারা শাক্তা ইউনিয়নের মধ্যেচর আম্বর সিটি বালুর মাঠে জৈনক মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকে।এই মামলায় লাইজু আক্তার(৩৬)নামে এক মহিলাকে আসামী করা হয়েছে।
শিশুটির বাবা আব্দুল মান্নান জানান, গত বুধবার(১৩ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যার সময় বাড়ির পাশে আমার শিশুপুত্র ইসমাইল খেলারত অবস্থায় নিখোঁজ হয়। এলাকায় মাইকিং করাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার(১৪ফেব্রুয়ারী) থানায় একটি জিডি করি। এর আগে আমাদের বাড়ির প্রতিবেশি লাইজু আক্তারকে অনুরোধ করে বলা হয় যে আপনার বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা আছে সেহুতু কোন পাচারকারী বা অন্য কেউ শিশুটিকে নিয়ে গেলে তা ওই ক্যামেরায় ধরা পরবে। তাই সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো চেক করা দরকার। কিন্তু ওই মহিলা এতে রাজি হয়নি। পরে আমার জিডির সূত্র ধরে আটিবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মহিলার বাড়ির গেটে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করার কথে বলে ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে ওই মহিলা তাদের প্রবেশ করতে দেয়নি। এতে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে রাত সাড়ে নয়টায় ফাঁড়ির কর্তব্যরত এসআই রেজাউল আমিন বর্ষনের নেতৃত্বে একদল পলিশ ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে মহিলার ঘরের একটি আলমারির ভিতরে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় শিশু ইসমাইলকে উদ্ধার করে। পরে ইসমাইলকে আটি বাজারে রাফিয়া ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। শিশু ইসমাইলের উদ্ধার হওয়ার সংবাদ পেয়ে মধ্যেরচর এলাকার শতশত মানুষ ওই মহিলার বাড়িতে ভাংচুর চালায় এবং তাকে বেদম মারপিট করে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই মহিলাকে স্থানী ইউপি সদস্য হাজী হানিফ মেম্বরের মাধ্যমে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ওই মহিলার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গৃলিবর্ষন করে জউত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন,শিশুটিকে উদ্ধারের পরেই উত্তেজিত জনতা বাড়িটিতে ভাংচুর চালায় এবং এক পর্যায়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে আমাদের ফাঁকা গুলি বর্ষন করতে হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১১সালেও ওই মহিলার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপহরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ