মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে দুটি বিতর্কিত বিল সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ করতে না পারায় সেগুলি বাতিল হয়ে গেল। এই দুটির একটি হল, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯ । অন্যটি হল, দ্য মুসলিম উওমেন (প্রটেকশান অব রাইটস অন ম্যারেজ) বিল, ২০১৮। শেষের বিলটি তিন তালাক বিল হিসেবেই পরিচিত। দুটি বিলই সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভায় সেগুলি পাস করানোর জন্য বুধবার রাজ্যসভায় পেশ করা সম্ভব হয় নি। যদিও রাজ্যসভার কার্যসূচিতে বিল দুটি পেশ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বিরোধীদের প্রবল হট্টগোলের জন্য দুপুরের পরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু রাজ্যসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন।
এদিনই ছিল রাজ্যসভার এই অধিবেশনের শেষ দিন। বর্তমান লোকসভার মেয়াদ রয়েছে মাত্র ৩ জুন পর্যন্ত। এর পর নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হবে নতুন লোকসভা। তখন যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা যদি বিল দুটি আনতে চান তবে তা নতুন করে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পেশ করতে হবে। সংসদীয় আইন অনুযায়ী, কোনও বিল লোকসভায় পাস করানোর পর তা রাজ্যসভায় পাস করানো হলে তা প্রেসিডেন্টের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। আর লোকসভায় পাস হবার পর সেই বিল যদি রাজ্যসভায় পেশ করা সম্ভব না হয় তাহলে তা জিইয়ে রাখা যায় পরবর্তী মেয়াদের সংসদের জন্য। কিন্তু রাজ্যসভায় যদি নিম্নকক্ষে পাস হওয়া বিল পেশই করা না যায় তবে তা বাতিল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রেও তাই হল। দুটি বিল নিয়েই ভারতজুড়ে বিরোধীরা তীব্র আন্দোলন করেছেন।
বিরোধীরা এই দুটি বিলে সমর্থন না জানানোর কথাও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু মোদী সরকার দুটি বিল পাস করাতে চেয়েছিলেন আগামী নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে। বিশেষ করে নাগরিকত্ব বিল পাস করানোর জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মোদী বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। আসলে লোকসভায় প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রাজ্যসভায় বিজেপি জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। এরই মধ্যে বিজেপির দুই শরিক শিবসেনা ও সংযুক্ত জনতা দল এই বিলের বিরোধীতায় সরব ছিল। তাই পেশ করা গেলেও তা পাস করানো সম্ভব ছিল না। তবে জিইয়ে রাখা যেতো।
গত মঙ্গলবারও বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু বিরোধীদের প্রবল হট্টগোলের জেরে সেদিনের অধিবেশন মুলতবি হয়ে গিয়েছিল। নাগরিকত্ব বিলে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রীষ্টান, পারসি, শিখ ও জৈন সম্প্রদায়ের যারা ভারতে এসেছেন এবং ৬ বছরের বেশি সময় বসবাস করছেন তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
কিন্তু আসামসহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মতে, এতে রাজ্যের জনজাতিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে । আর তাই তারা আন্দোলন শুরু করে এই বিল বাতিল করার দাবিতে। এমনকি বিজেপির শরিকদের দ্বারা পরিচালিত, অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীরাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিল বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে তিন তালাক বিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে। এমনকি কংগ্রেসও ঘোষণা দিয়েছে তারা ক্ষমতায় এলে এই বিল বাতিল করে দেবে। বিজেপির যুক্তি ছিল, মুসলিম মহিলারা তালাকের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পুরুষদের এই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এই বিল আনা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।