মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর যন্তরমন্তরের মঞ্চ থেকে ফের মোদী সরকারকে হটানোর ডাক দিয়েছেন ভারতের বিরোধী নেতারা। এ মঞ্চে বিরোধী মহাজোটকে এক গুরুত্বপ‚র্ণ বার্তা দেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) নেতা ও জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সবাই আমরা প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। সবার খুশি চাই। প্রধানমন্ত্রী পরে হবেন। আগে এই সরকারকে হঠান।’
ফারুক আবদুল্লাহ আরো বলেন, ‘এই সরকারকে হঠানো খুব সহজ নয়। আমাদের সবার মন পরিষ্কার না হলে চলবে না।’ তবে মোদী সরকারের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন এনসি প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা কি হিন্দু বা মুসলমান কাউকে বলি, এটা খাবেন না, ওটা করবেন, সেখানে যাবেন না? মুসলমানদের বলা হচ্ছে, এই দেশে থাকতে হলে আমাদের কথা শুনতে হবে। আমি এই হিন্দুদের জিজ্ঞেস করি, এই দেশটা কি আপনার বাপের। দেশটা সব ভারতীয়র।’
আম আদমি পার্টির (আপ) ডাকে বুধবার যন্তরমন্তরে এ ধর্নায় বসে ভারতের বিরোধী দলগুলি। ধর্নামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই সাংসদ ডি রাজাসহ বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। কলকাতায় মমতার ব্রিগেড সমাবেশ তথা ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি’তে যোগ না দিলেও দিল্লির এই সভায় বাম নেতাদের উপস্থিতি তাৎপর্যপ‚র্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা। কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন আনন্দ শর্মা।
আপের এই ধর্নায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি শেষ পর্যন্ত আসতে পারেননি। তবে তার প্রতিনিধি হিসেবে দানিশ আলিকে পাঠান। চন্দ্রবাবু নাইডুও এসে পৌঁছেন। মঞ্চে আরো ছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাহ, যশবন্ত সিনহার মতো নেতারা। এছাড়াও ছিলেন লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শরদ যাদব, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, রাষ্ট্রীয় লোকদলের তরফে ত্রিলোক ত্যাগী, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি, অরুণাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং।
বুধবার সকালে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সংসদের সেন্ট্রাল হলে বলেন, ‘গান্ধীজি গণতন্ত্রের প্রতীক। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাওয়ের ডাক দিয়েছি আমরা।’
তৃণমূলের ধর্নায় রাহুল
এদিকে নয়াদিল্লিতে সংসদ ভবনের বাইরে তৃণমূলের ধর্নায় যোগ দেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। তৃণমূলের সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়ে ঐক্য প্রকাশ করেন তিনি।
খবরে বলা হয়, গণতন্ত্র বাঁচাওয়ের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে ধর্নায় বসেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে অপ্রত্যাশিতভাবে হঠাৎ রাহুলকে দেখা যায়। তিনি ধর্নায় যোগ দিয়ে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সেখান থেকে চলে যান। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে রাহুলের এমন ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে দেখা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরোধিতায় সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা একজোট হয়েছে। মোদির বিরোধিতায় যে তিনিও জোটের পক্ষেই রয়েছেন তা বোঝাতেই রাহুল গান্ধী এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেডের সভাতেও তিনি আসতে না পারলেও তার হয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন রাহুল। সেই নির্দেশ পেয়ে এসেছিলেন মল্লিকার্জুন খার্গে। কার্যত জোটের পক্ষে যে কংগ্রেস রয়েছে তা বোঝাতেই এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।