চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি
চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম, রহমতগঞ্জ জামে মসজিদ ও জামালখান পিডিবিউ জামে মসজিদের সাবেক খতিব হযরত মাওলানা হাফেজ আবু জাফর সাদেকের নামাযের জানাযা শেষে তাকে দৌলতপুরস্থ কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
ফটিকছড়ি উপজেলার দৌলতপুর গুলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ময়দানে অনুষ্ঠিত নামাযে জানাযায় ইমামতি করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি।
জানাযার নামায পূর্ব সমাবেশে আল্লামা আহমদ শফি বলেন, মাওলানা হাফেজ আবু জাফর সাদেক ছিলেন বিজ্ঞ আলেম এবং বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গ্রন্থকার। মসজিদ, মাদ্রাসার খেদমত ছাড়াও ইসলামী পত্রিকা সম্পাদনায় তার অবদান স্মরণীয়। আল্লাহর দরবারে তার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি সকলকে মৃত্যুর আগে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এবং আমল করার জন্য আহ্বান জানান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দেস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, অধ্যক্ষ সেলিম জাহাঙ্গীর, শায়খুল হাদীস আল্লামা মুহাম্মদ ইদ্রিস, মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী, মুফতি মাহমুদ হাছান বাবুনগরী, মুফতি জসিম উদ্দীন, মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী, হাটহাজারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনীর, মাওলানা আনোয়ার শাহ্ আল আযহারী, মুফতি কুতুব উদ্দীন নানুপুরী।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পীরে কামেল আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মুফতিয়ে আযম বাংলাদেশ আল্লামা মুফতি আবদুস সালাম চাঁটগামী, অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাছান ফতেপুরী, মুহাদ্দেস মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাবুনগরী, মুহাদ্দেস মাওলানা সলিমুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকারিয়া হাছনাবাদী প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, ২৪শে এপ্রিল সোমবার রাত সাড়ে ৯ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হযরত মাওলানা হাফেজ আবু জাফর সাদেক ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহী রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, চার মেয়ে রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত একমাত্র ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার ৩ যুগ পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল ছাত্র সমাবেশ ও লাখো কণ্ঠে ইয়া নবী সালাম আলাইকা পাঠ করা হয়। সম্প্রতি ছাত্রসেনার ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতি সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব আল্লামা এম এ মতিন। ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি আল্লামা এম এ মান্নান শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, শিক্ষকদের অমর্যাদা করে মর্যাদাশীল জাতি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। দেশে আজ গণতন্ত্র, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই। রাজনৈতিক দলগুলো ও শাসকগোষ্ঠী নিজেদের দলীয় ও গোষ্ঠী স্বার্থে রাজনীতি করায় দেশবাসীর স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। অথচ এই গরিব দেশে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণকল্যাণমুখী সমন্বয়ের রাজনীতি বড় প্রয়োজন। তিনি সরকারি দল ও বিরোধী দলকে দল ও গোষ্ঠী স্বার্থ থেকে বেরিয়ে এসে সমঝোতার ভিত্তিতে গণকল্যাণমুখী রাজনীতি করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সুফিবাদী মানবতাবাদী চেতনার ধারক ও বাহকরাই ইসলামের প্রতীক বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধান বক্তা মাওলানা এম এ মতিন পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পদক্ষেপ নেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ প্রদান এবং কোরআন-সুন্নাহর অপব্যাখ্যার অপরাধে মওদুদীবাদী ও হেফাজতদের বিচারের জন্য শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের দাবি জানান। আইএস, আল-কায়েদার মানসপূত্র জামাত-হেফাজতদের সাথে সরকারের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুলে ইসলামী ফ্রন্ট নেতা বলেন, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া হেফাজতের কাছে সরকারের অসহায় আত্মসমর্পণ জাতিকে হতবাক করেছে। যারা ইসলামের কথা বলে বোমাবাজি ও কথিত জিহাদের ধোঁয়া তুলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদি তৎপরতায় লিপ্ত তাদের অপকর্মের যথার্থ বিচার দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।